চোপড়া: সাতসকালে ভোটের (Lok Sabha Election 2024)) বুধে আলো-আঁধারি খেলা। কারণ আলোই নেই। অবস্থা এমনই যে ভোট দিতে ভরসা মোবাইল ফোনের টর্চ। এমনই অবস্থা দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চোপড়া বিধানসভা এলাকায়। 


চোপড়ার দাসপাড়া উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্র হয়েছে। সেখানেই ভোটের বুথে আলো পর্যাপ্ত নেই বলে অভিযোগ। টর্চ জ্বালিয়ে ভোট দিতে হচ্ছে। গতকাল আলোই ছিল না, বলার পর একটিমাত্র টিউব লাইট লাগানো হয়, দাবি প্রিসাইডিং অফিসারের। 


বালুরঘাটে পতিরামে সকাল সকাল দেখা গিয়েছে উত্তেজনা। একাধিক জায়গা নিয়ে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে দার্জিলিংয়ে পরিবেশ ততটা উত্তপ্ত নয়। আবহাওয়া যেমন অনেকটাই ঠান্ডা, তেমনই ভোট-উত্তেজনাও অনেকটাই কম। এখনও পর্যন্ত যে যে সমস্যার কথা সামনে এসেছে তার অধিকাংশই ইভিএম নিয়ে।


ফাঁসিদেওয়া
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের ফাঁসিদেওয়া বিধানসভা এলাকায় ভোট শুর হয় দেরিতে। ইভিএম খারাপ হয়ে বিপত্তি হয়েছিল। এখানে নিকারগছ প্রাথমিক ১৬৩ নম্বর বুথে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় পর শুরু হয় ভোটগ্রহণ। এই বুথে ১৪০০ জন ভোটার রয়েছেন। সকালে ৪-৫ জন ভোট দেওয়ার পরেই EVM খারাপ হয়ে যায়। রোদের মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন ভোটাররা। ৮টা ৪০-এ ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। 


মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি
শিলিগুড়ি লাগোয়া সমতল এলাকা যথেষ্ট গরম। তাই প্রবল গরমে সকাল সকাল ভোট দেবেন বলে ভোর ৫টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ভোটাররা। কিন্তু EVM-এ ত্রুটির কারণে একঘণ্টা দেরিতে ৮টা নাগাদ ভোট শুরু হয়। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের নকশালবাড়ির তোতারামজোত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথের ঘটনা। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় ক্ষোভ উগরে দেন ভোটাররা। 


এদিন পাহাড়েও মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই ভোট হচ্ছে। সকাল সকাল ভোট দিতে দেখা গিয়েছে দার্জিলিংয়ের তৃণমূল প্রার্থী গোপাল লামাকে।


আজ দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিংয়ে (Darjeeling lok Sabha Election) ভোট-লড়াই মূলত চতুর্মুখী। তবে লড়াইয়ের আকর্ষণের কেন্দ্রে বিজেপির রাজু বিস্ত ও বিষণুপ্রসাদ শর্মার মধ্য়ে লড়াই। বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তকে ফের দার্জিলিঙে প্রার্থী করায় দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই নির্দলে দাঁড়িয়েছেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষণুপ্রসাদ শর্মা। অন্য়দিকে, পাহাড়ে তৃণমূল প্রার্থী করেছে গোপাল লামাকে। কংগ্রেসের প্রার্থী মুনিশ তামাঙ্গ।  গত তিনবার লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্র দখল করে বিজেপি। ২০০৯ সালে বিজেপির হয়ে ভোটে জেতেন যশোবন্ত সিং। ২০১৪ সালে এস এস অহলুওয়ালিয়া ও ২০১৯ সালে জয়ী হন বিজেপির রাজু বিস্ত। দার্জিলিঙে বুথের সংখ্যা ১ হাজার ৯৯৯টি। স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ৭৩৯টি। পাহাড়ে ৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।  

আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন:  তৃণমূলকর্মীর দিকে তেড়ে গেলেন সুকান্ত! তুমুল বচসা