উত্তর ২৪ পরগনা: ১ জুন বসিরহাটে ভোট (Basirhat Lok Sabha Constituency)। আর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে সন্দেশখালি ইস্যু (Sandeshkhali Incident)। মূলত সন্দেশখালিতে অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশের পর উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। গেরুয়াশিবিরের আক্রমণের মুখে তৃণমূলের সরকার (TMC Government)। সন্দেশখালিতে অস্ত্রভাণ্ডারের হদিশের ঘটনায় আন্তর্জাতিক যোগ দেখছে বিজেপি। আর এবার বিস্ফোরক অভিযোগ বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের (BJP Leader Dilip Ghosh)। তিনি বললেন,শেখ শাহজাহান রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে ক্যাম্প তৈরি করেছিল। সেই ক্যাম্পের খরচ দিত জেলা পরিষদ।'


এদিন দিলীপ বলেন, 'সীমান্তবর্তী এলাকা যদি অস্ত্রের আড়তে পরিণত হয় তবে দেশের সুরক্ষা কোথায়? যারা ইডির উপর হামলা চালিয়েছিল, প্রত্যেকে সন্ত্রাসবাদী। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত, তল্লাশি চালিয়ে প্রত্যেককে জেলে ভরা। শেখ শাহজাহান রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে ক্যাম্প তৈরি করেছিল। সেই ক্যাম্পের খরচ দিত জেলা পরিষদ। তারপর সেখান থেকে সারা দেশে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হত', বিস্ফোরক অভিযোগ দিলীপ ঘোষের।


 সন্দেশখালিতে প্রথমে হামলা হয়েছিল ইডির ওপর। তারপর সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে গিয়ে সেখান থেকেই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরকের হদিশ পেল CBI. এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, যার হদিশ পেল CBI, তার হদিশ কেন আগে পেল না পুলিশ?  বারবার উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে উদাসীনতার অভিযোগ! সেই অভিযোগে নতুন অনুচ্ছেদ জুড়ল শুক্রবার দুপুরে সন্দেশখালিতে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার। শেখ শাহজাহানের শাগরেদের ডেরায় কার্তুজ, আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার আধার কার্ড, প্যান কার্ড, আর্মস লাইসেন্স, কার্তুজ কেনার বিল-সহ আরও কিছু নথি।


বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে সন্দেশখালিতে এ অস্ত্র এল কোথা থেকে? কারা আনল? কী কারণে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল? এই অস্ত্র কি ভোটের সময় সন্ত্রাসের জন্য মজুত করা হয়েছিল? সন্দেশখালিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ধৃত শেখ শাহজাহানের সঙ্গে এই অস্ত্রের কোনও যোগ নেই তো? শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন,আজকে দেখুন অস্ত্র উদ্ধার সন্দেশখালিতে। আমি মনে করি যদি মিনাখাতে যান, আয়ুব গাজির কাছ থেকেও অস্ত্র পাবেন। জীবনতলায় যান সওকত মোল্লার ডেরা থেকে অস্ত্র পাবেন। বাসন্তীতে যান রাজা গাজির ডেরা থেকে অস্ত্র পাবেন।


যদিও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'এত অস্ত্র ঢুকলো সন্দেশখালিতে। যদি সন্ধান পাওয়া যায়, তাহলে তো পুলিশের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। পুলিশের ইন্টেলিজেন্স তাহলে কি করছিল? কেউ অস্ত্র রেখে বদনাম করার চেষ্টা করছে কিনা বা সন্দেশখালি ইস্যু জিইয়ে রাখার চেষ্টা করছে কিনা, তা পুলিশের নজরদারি রাখা উচিত ছিল। যদি অস্ত্র পাওয়া যায় তাহলে পুলিশের ভূমিকা তো অবশ্যই প্রশ্নের মুখে পড়বেই।'


আরও পড়ুন, খড়গপুরে BJP যোগ কাউন্সিলরের,পার্টি অফিস দখল ঘিরে অগ্নিমিত্রার সামনেই শুরু হাতাহাতি ..


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।