সলপ : পঞ্চম দফাতেও বিরতি নেই অশান্তির। এবার সলপে বাম এজেন্টকে বুথ থেকে মেরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল।  


কী ঘটনা ?


দীপ্সিতা বলেন, "শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছিল। ওঁরা দু'জন ভেতরে বসেছিলেন। রাজ্য পুলিশের যিনি আছেন তিনি আমাদের এজেন্টের নাম ধরে ডাকেন...যে অমুক কে আছেন। কার্তিক দেবনাথ তাঁকে বাইরে ডাকছেন। যখন উনি বাইরে আসেন তখন অনেকে তাঁকে গালিগালাজ করে, হুমকি দিয়ে তুলে দেন। পরে দ্বিতীয় জনকেও তুলিয়ে দেন। দেখে নেব, বাড়িতে কী হবে। এখন তো কেন্দ্রীয়বাহিনী আছে, রাতে কে থাকবে...এসব বলে হুমকি দেন। ভয় পেয়ে ওঁরা চলে যান। আমরা যখন প্রথমে এখানে আসি দেখি বাইরে একটা জটলা। ১০০ মিটারে একদম সামনে। সেই ছেলেগুলোর সঙ্গে আমরা কথা বলি। প্রথমে তাঁরা স্বাভাবিকভাবে কথা বলেন। আমাদের বলার পর ওঁরা ওখান থেকে চলে যান। এবার আমি যখন ৫৩ নম্বর বুথে ভেতরে আসি, সেখানে তাঁরা বলেন সব ঠিকঠাক চলছে। কোথাও কোনও অসুবিধা নেই। আমি যখন বাইরে আসি দেখি কিছু মহিলা এখানে বসে আছেন। তাঁরা তখন বলতে শুরু করেন, এজেন্টের কোমড় ব্যথা করছিল। তাই চলে গেছেন। কে ওঁকে মারবে ! আমার মাথায় বিষয়টা স্ট্রাইক করে। আমি সাধারণ কথাবার্তায় যাই। পরে জানা গেল, ওই মহিলারা সব তৃণমূলের লোক। প্রত্যেকের ভোট হয়ে গেছে। তাঁরা কেউ এজেন্ট নন। তাঁরা এখানে বসে আছেন কীসের জন্য ? কীভাবে পুলিশ তাঁদের অনুমতি দিল ? এতগুলো মহিলাকে এখানে বসে থাকার অনুমতি পুলিশ কী করে দিল ? কেন্দ্রীয় বাহিনী কিছু জায়গায় খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু, এটাও ভাবতে হবে ক্যাম্পাসের ভেতরে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রণ করছে রাজ্য পুলিশই। ফলে, আমার মনে হয় এখানে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা ন্যক্কারজনক।" 


সলপে আক্রান্ত বাম এজেন্ট বলেন, "আমরা তো দেখলাম, উনি (দীপ্সিতা ধর) লড়াই করেছেন। আমরা তো দেখলাম। অত মহিলার মধ্যে একা লড়াই করেছেন। এটাই সবচেয়ে গর্বের কথা।"


আরও পড়ুন ; বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির জেরে তুলকালাম বরানগরে


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।