সুনীত হালদার, হাওড়া: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) হাওড়া সদর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন হাওড়া পুরসভার মেয়র রথীন চক্রবর্তী (BJP Candidate Rathin Chakraborty)। তাঁর নাম ঘোষণা হতেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। 


রথীন চক্রবর্তী আর্থিক তছরুপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন : মুখ্যমন্ত্রী


দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (CM Mamata Banerjee) সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি অভিযোগ করেন, রথীন চক্রবর্তী হাওড়া পুরসভার মেয়র থাকাকালীন আর্থিক তছরুপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। শুধু তাই নয় রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দপ্তরের মন্ত্রী অরূপ রায় (Arup Roy) একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তাঁর আমলে নানা ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে তদন্তের জন্য আবেদন করবেন। উল্লেখ্য ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তী হাওড়া পুরসভার মেয়র ছিলেন। তারপর আর হাওড়া পুরসভায় কোনও নির্বাচন হয়নি। 


 রাজ্য সরকার কেন শ্বেতপত্র প্রকাশ করছে না ? প্রশ্ন বিজেপি প্রার্থীর


বর্তমানে রাজ্য সরকারের মনোনীত প্রশাসকমন্ডলী হাওড়া পুরসভার দায়িত্বে আছেন। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী এবং অরূপ রায়ের অভিযোগকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন বিজেপি প্রার্থী রথীন  চক্রবর্তী। তিনি বলেন,' যদি কোনও আর্থিক দুর্নীতি হয়ে থাকে, তবে রাজ্য সরকার কেন শ্বেতপত্র প্রকাশ করছে না। আর বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার এতদিন পর কেন তিনি এসব বলছেন ?' তিনি আরও বলেন, 'একা মেয়র হাওড়া পুরসভা চালাতেন না। সেখানে এমআইসি সদস্যরা ছিলেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হত।' 


আরও পড়ুন, দাঁড়িভিটে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় আদালত অবমাননার রুল জারি হাইকোর্টের


'তাহলে এতদিন কেন তিনি চুপ করে ছিলেন ?  এখন রাজনীতি করার জন্য এসব বলছেন ?'


পুরসভার লোক নিয়োগ নিয়ে তিনি বলেন, 'পুরসভায় তাই কর্মীর সংখ্যা সামান্য। তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি চুক্তিভিত্তিক লোক নিয়োগ করেছিলেন। এর পেছনে অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না। তাই এখনও পর্যন্ত অন্যান্য পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও হাওড়ায় কোন অভিযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, এই অভিযোগকে কীভাবে আইনিভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে ব্যাপারে তিনি আলোচনা করছেন।।হাওড়া সদরের সিপিএম প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এতদিন কেন মুখ্যমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দেননি, সেটা তদন্ত করে দেখা উচিত। যখন রথীন চক্রবর্তী মেয়র ছিলেন, তখন অরূপ রায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সভাপতি ছিলেন। তাহলে এতদিন কেন তিনি চুপ করে ছিলেন ? আর এখন রাজনীতি করার জন্য এসব বলছেন ? প্রশ্ন তোলেন তিনি।