সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Elections 2024) বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার সন্দেশখালি ইস্যু (Sandeshkhali Incident)। তাই সন্দেশখালিকে সামনে রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে পথে নামলেন হুগলি লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)।
আজ চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরে জিটি রোডের ওপর বসে অবরোধ শুরু করেন লকেট। ঘটনাস্থলে রয়েছে চুঁচুড়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সপ্তাহের প্রথম দিনে জিটি রোডের মতো ব্যস্ত রাস্তায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় যানজট তৈরি হয়েছে। এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'এটা কোনও অভিনেত্রীদের লড়াই নয়।এটা হচ্ছে মোদিজির ভোট। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদিজিই হবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৪২ টি আসন নিয়ে কখনও প্রধানমন্ত্রী হতেও পারবেন না।
উল্লেখ্য, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে দ্বিতীয়বার প্রার্থী হয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। আজ সকাল থেকে তাঁর সমর্থনে দেওয়ালে লেখা শুরু করেছেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। সিঙ্গুরের সিংহের ভেড়ি এলাকায় চলছে দেওয়াল লিখন। এরপর বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেটও বিলি করবেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। প্রথম দফা প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরেই হুগলির জেলা পার্টি অফিসে এসে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এরপর কর্মী, সমর্থকদের মিষ্টিমুখও করান হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। এলাকায় কোনও কাজই করেননি লকেট। এবার ভোটে গো-হারা হারবেন, কটাক্ষ করেছেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।
আরও পড়ুন, ভোটের আগে আজই CAA নিয়ে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা
তৃণমূলের জনগর্জন সভার দিনেই ন্যাজাট থেকে ঝড় তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন,' সন্দেশখালি জ্বলছে, আর চোর মমতা হাঁসছে। আমার বীরাঙ্গনা মাতঙ্গিনী হাজরার মতো মূর্তি আপনারা রণংদেহী মূর্তি জেহাদিদের বিরুদ্ধে আপনারা যে ভূমিকা নিয়েছেন শত কোটি প্রণাম জানাই। আপনারা জানেন সন্দেশখালি একা নন, সন্দেশখালির সঙ্গে গোটা ভারতবর্ষ আছেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা নরেন্দ্র মোদিজি আরামবাগে, কৃষ্ণনগরে, আমাদের শিলিগুড়িতে, বারাসাতে সর্বত্র সন্দেশখালির মা-বোনেদের অত্য়াচারের প্রতিবাদ করেছেন। আপনাদের সংগ্রামকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তাই আজকের এই সমাবেশ আমরা চ্য়ালেঞ্জ নিয়ে করেছি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এই রাজ্য়ের মুখ্য়মন্ত্রী তিনি নাকি মহিলা দরদি। তিনি নাকি পাঁচশো টাকা, হাজার টাকা অনেক কিছু দিয়েছেন। তিনি আজকে ২ মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেল সন্দেশখালিতে আসার মতো প্রয়োজন অনুভব করেননি। '