নয়াদিল্লি: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। এর আগে অনেকেই সিএএ (CAA) কার্যকর নিয়ে ডেডলাইন দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের আগেই সিএএ কার্যকর হবে, গত মাসে একথা মনে করিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শোনা গিয়েছে একই সুর শান্তনুর মুখেও (Shantanu Thakur)। যদিও 'রাজ্যে সিএএ লাগু করতে দেব না', গতকালও ব্রিগেডের সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিকে নানা জল্পনার মাঝেই আজ সূত্র মারফত এল খবর। ভোটের আগে আজই সিএএ নিয়ে রাত ১০টায় কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি জারির সম্ভাবনা। বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই কার্যকর হবে সিএএ: সূত্র। আজই সিএএ কার্যকর নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই সংসদের ২ কক্ষে পাস সিএএ।
১২ ডিসেম্বর, ২০১৯: রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর আইনে পরিণত হয় সিএএ। এএনআই সূত্রে খবর, ভোটের আগে আজই সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বড় ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই দেশজুড়ে লাগু হবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। কীভাবে পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তানের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব? কীভাবে মিলবে ভারতের নাগরিকত্ব? আজই রুল ফ্রেম: সূত্র।
প্রসঙ্গত, ২৯ জানুয়ারি CAA কার্যকর হওয়া নিয়ে বড়সড় বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Santanu Thakur)। তিনি বলেছিলেন, 'এক সপ্তাহের মধ্যে সিএএ (CAA) কার্যকর হবে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা দেশে সিএএ কার্যকর হবে।' স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এই দাবির পর জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। যদিও তারপর পরই সিএএ কার্যকরে বদলেছিল শান্তনু ঠাকুরের 'ডেডলাইন'। পরে বলেছিলেন,'দেশ সিএএ চায়, কার্যকর হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না।'
CAA নিয়ে অতীতে কম জলঘোলা হয়নি। মতুয়াদের জন্য CAA প্রসঙ্গ তুলে বারংবার কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব।মূলত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন, একাধিকবার বিজেপি এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে বাংলায় সিএএ চালুর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। আর দেখতে দেখতে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের মুখেই এল খবর।
আরও পড়ুন, 'ইউসুফ পাঠান ও মোদি দুজনেই গুজরাতের..', TMC- র প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত
সিএএ নিয়ে তৎপরতার মাঝেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ' নির্বাচনের আগে কেন CAA কার্যকরের চেষ্টা ? কোনও বৈষম্য মানব না। যদি সিএএ নিয়ে নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, তাহলে তীব্র প্রতিবাদ করা হবে।সিএএ-র নাম করে ডিটেনশন ক্যাম্প রেখে দেবে, তা হবে না। এটা ছলনা। সিএএ রাজ্যে লাগু হতে দেব না।', হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রীর।