কলকাতা: এবার লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) গোটা দেশের মধ্য়ে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। অমিত শাহ থেকে শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির তাবড় নেতাদের গলাতেও বারবার শোনা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা। এই আবহে চতুর্থ দফা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি প্রার্থীরা। 

খোদ অমিত শাহ যে রানাঘাটে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গ তুলে সবাইকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন, সেই রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থীই সোমবার ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের একটি স্কুলে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ পেয়ে, সেখানে যান বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। সেখানে ভোটে কারচুপির প্রমাণ না পেলেও, ভোট কেন্দ্রের মধ্যে বেশি সংখ্যক রাজ্য পুলিশ কেন রয়েছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি প্রার্থী। ভোট কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে জমায়েত নিয়েও অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। পুলিশ সক্রিয় হতেই এলাকা থেকে সরে যায় জমায়েত। তারপরই জগন্নাথ সরকারকে লক্ষ্য করে স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে চলে বিক্ষোভ। 


বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন প্রার্থীদের: কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জগন্নাথ সরকার। তিনি বলেন, “এত কেন্দ্রীয় বাহিনী এত তৎপরতা, তারপরও এই অবস্থা কেন? কমিশনের খতিয়ে দেখা উচিত কার জন্য এই অবহেলা। অনেকেই যুক্ত আছেন।’’একই সুর শোনা গেছে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ থেকে অমৃতা রায়ের গলাতেও। চতুর্থ দফার ভোটে দিলীপ ঘোষের কনভয়ে ভাঙচুর করা হয়। যা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে ফ্রি অ্য়ান্ড ফেয়ার ইলেকশন পেলাম না।’’

এদিন নদিয়া জেলার দু'টি কেন্দ্রে ভোট ছিল। কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাট। নদিয়ার বিভিন্ন জায়গাতেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের শোনপুকুরে, বহু ভোটার ভয়ে ভোট দিতে যেতে পারেননি বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। তেহট্টের ফাজিলনগরে ভোটকেন্দ্রের ভিতরে ঢুকে ভুয়ো ভোটার ধরেন সিপিএম প্রার্থী এস এম সাদি। অভিযোগ, ভুয়ো ভোটারকে বাধা না দিলেও, সিপিএম প্রার্থীর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ৯২০ কোম্পানি থেকে এক লাফে ১ হাজার ২০-তে পৌঁছে যাচ্ছে। কমিশন আগে বলেছিল পশ্চিমবঙ্গে ভোটে ৯২০ কোম্পানি বাহিনী থাকবে।  কিন্তু ষষ্ঠ দফাতেই ১ হাজার ২০ কোম্পানি বাহিনী আনা হচ্ছে।  চতুর্থ দফায় অশান্তির জেরেই বাহিনী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বলে কমিশন সূত্রে খবর।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: মন্তেশ্বরের পর বর্ধমান, ফের দিলীপের কনভয়ে হামলা