বারাণসী : পাশা কি তবে ওল্টাচ্ছে ? প্রাথমিক ট্রেন্ডে বারাণসীতে পিছিয়ে নরেন্দ্র মোদি। এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রাই।
উত্তরপ্রদেশের অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র বারাণসী। কারণ, গত দুবার এখান থেকেই নির্বাচিত হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে। এবারও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে বারাণসী থেকেই ভোট দাঁড়ান মোদি। অন্যদিকে, আগের দু’বার পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও অজই রাইকেই প্রার্থী করে কংগ্রেস। মোদির 'ভোকাল ফর লোকাল' তত্ত্বেই তাঁকে মাত দেওয়ার লক্ষ্যে ভোটযুদ্ধে নামেন অজয়।
বারাণসীর আসনটি জেনারেল সিট। এসসি বা এসটির জন্য সংরক্ষিত নয়। এই কেন্দ্রে শেষ দফায় অর্থাৎ, ১ জুন ভোট হয়। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অজয় রাইয়ের একতরফা লড়াই হতে চলেছে। কিন্তু, প্রাথমিক ট্রেন্ডে তা দেখা যাচ্ছে না। লড়াই হচ্ছে হাড্ডাহাড্ডি। কখনো মোদি এগিয়ে তো কখনো অজয় রাই এগিয়ে যাচ্ছেন।
অজয় রাইকে বারাণসী থেকে প্রার্থী করার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরে। কংগ্রেস সূত্রে জানা যায়, উত্তরপ্রদেশে দলের সংগঠনের দিকটি দেখেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। সেখানে একাধিক বিষয়ে দলের দলিত নেতা ব্রিজলাল খবরির সঙ্গে মতভেদ ঘটে প্রিয়ঙ্কার, যে কারণে ব্রিজলালকে সরিয়ে গতবছর অগাস্টে অজয়কেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিযুক্ত করা হয়। উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল স্তরের মানুষের মনে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করতে সেই থেকে কাজ করছিলেন অজয়। সেই কারণেই বারাণসীতে তৃতীয় বারের জন্য তাঁকে মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
অজয়কে প্রার্থী করা নিয়ে আরও যে একটি কারণ উঠে আসে, তা হল, বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের হাত ধরে রাজনীতিতে অভিষেক অজয়ের। বিজেপি-র টিকিটে তিন তিন বার কোলাসলা থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি, ১৯৯৬, ২০০২ এবং ২০০৭ সালে। ২০১৯ সালে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন অজয়। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র মুরলি মনোহর জোশীর কাছে পরাজিত হন। ২০১২ সালে কংগ্রেসের হাত ধরেন অজয়। সেবার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকে পরাজিত করেন। কিন্তু ২০১৭ এবং ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আবার পরাজিত হন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।