কলকাতা: সম্প্রতি তিনি প্রচারে বেরিয়ে বলেছিলেন, মোদির গ্যারান্টি বলে কিছু নেই। পশ্চিমবাংলায় যদি মানুষের কোনও ভরসা থাকে, তা হল দিদির গ্যারাণ্টি।' এখানেই শেষ নয়, সেদিন তিনি আরও বলেন কাকে পাওয়া যায়নি তা নিয়ে উৎসাহ দেখিয়ে, বরং তাঁর দিকে নজর ফেরাতে। গত তিনবছর ধরে রাজনীতির করছেন। নিজেই বলেন মানুষের এই ভরসাটুকু অটুট আছে যে, 'সায়নী ঘোষকে ২৪ ঘণ্টাই পাশে পাবে যাদবপুর।' যদিও সেদিনের ওই ভরসায় আদতেই কি চিড়ে ভেজেনি ?  আজ ভোট প্রচারে (Vote Campaign) এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে সায়নী ঘোষ ((Jadavpur TMC Candidate Saayoni Ghosh)। 






বিক্ষোভকারীদের কী বোঝালেন সায়নী ?


নির্বাচনের আগে জোরকদমে প্রচারে শুরু করেছেন সায়নী ঘোষ। যদিও এদিনটায় কাটল সুর, রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকার ৩৪ নং ওয়ার্ডে। এদিন পানীয় জলের অভাব, রাস্তা ও নিকাশি নিয়ে  এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়েন সায়নী। ভোট না দিলে রাস্তা হবে? প্রশ্ন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থীর । 'ভোট দিলেও রাস্তা হবে না', পাল্টা সরব এলাকাবাসী। 


'কাউকে ভোট দেব না..'


স্থানীয় সত্য়জিৎ রায় সরণিতে সায়নীর গাড়ি পৌঁছতেই তৃণমূল প্রার্থীকে দেখে ক্ষোভ উগরে দিলেন মহিলারা। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের এক অভিযোগকারী বাসিন্দা বলেন ভোট দিয়ে কোনও লাভ নেই। কোনও পার্টিকেই ভোট দেওয়া ঠিক নয়। কাউকে ভোট দেব না। জল তো আছে, ড্রেনের জল বেরনোর কোনও জায়গা নেই। জলের কথা বলি না, জল কেউই দেবে না। ড্রেন দেয় না, আবার জল। আরে খাবার জলই ঠিক মতো দেয় না। 


কী বললেন সায়নী ?


এদিন প্রচারের গাড়ি থেকে সরাসরি ভোটারদের সায়নী ঘোষ বলেন, জলের প্রকল্পের কাজ তো হয়ে গিয়েছে। ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ চলছে। এই যে রাস্তাগুলি দেখছেন আপনারা, এটা খোদাই করা হয়েছে, কারণ জলের লাইন বসানো হচ্ছে। এগুলি তো একদিনের কাজ নয়। প্রত্যেকের নিজস্ব সমস্যা নিজস্বর  মনে হয়। মানুষকে এটা  বুঝতে হবে। মমতা বন্দ্যোাপাধ্যায় প্রত্যেকটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন। এবং সেটা সম্পূর্ণ করে দেবেন', এদিন বিক্ষোভকারীদের বলে বোঝান সায়নী। 


কী বলছেন যাদবপুর বিজেপি প্রার্থী ?


 অপরদিকে, যাদবপুর বিজেপি প্রার্থী  অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন এই রাজপুর সোনারপুর এলাকা মিলিয়ে ৫২০ কোটি টাকা কেবল মাত্র এই এলাকার জন্য় বরাদ্দ হয়েছে। ৫২০ কোটি টাকা নরেন্দ্র মোদি বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু, তাও কাজ হচ্ছে না। কাজ আটকে রয়েছে। তাহলে কি বলা যায় যে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে এই কাজ? টাকাটা কোথায় যাচ্ছে? তারা নিজেদের অডিট করাচ্ছে না কেন? টাকার হিসেব দিচ্ছে না কেন? সেই জন্য় স্থানীয় মানুষের এই ক্ষোভ। 


আরও পড়ুন, 'গোপনীয়তার অধিকার ভঙ্গ..', দেবাংশুর বিরুদ্ধে কমিশনে BJP প্রার্থী রেখা পাত্র


কেন যাদবপুরে এবার সায়নী ?


২০১৯ সালে যাদবপুরে তৃণমূলের হয়ে জয় আনেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর, ফেব্রুয়ারিতে সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। গত মাসেই তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা বলে লোকসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। দেখতে দেখতে চব্বিশের নির্বাচন এসে গিয়েছে। পিছু ছাড়ছে না অতীত। মিমির জায়গায় এবার এই কেন্দ্রে সায়নীকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্য়ায়।সিপিএম প্রার্থী করেছে সৃজন ভট্টাচার্যকে।