কলকাতা: টিকিট না পাওয়ার ক্ষোভ এবার শান্তনু সেনের (Santanu Sen)। 'রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ভেবেছিলাম লোকসভার টিকিট পাব, পাইনি। মনে কষ্ট থাকলেও, মমতা-অভিষেকের অনুগত থাকব', ক্ষোভ জানিয়েও দলের প্রতি অনুগত থাকার দাবি শান্তনু সেনের।


লোকসভা ভোটের আগে দেশে অন্যতম বড় ইস্যু সিএএ। সম্প্রতি তিনি এই বিষয় নিয়ে বলেন,' দেখুন যারা পলিটিক্যালি এই বিষয়টাকে মোকাবিলা করতে চায়, তারা পলিটিকালি মোকাবিলা করবে। কিন্তু, ভারত সরকার এই পলিটিক্য়ালি গ্রাউন্ডে না গিয়ে যারা দীর্ঘ সময় ধরে আজকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের নিজের সম্পত্তির উপরেও তাদের মনে হয়েছে আমরা একটা জেলখানাতে আছি। তারা সেখানে ধর্মীয় কারণে অত্য়াচারিত। তারা নিপীড়িত। আমরা দেখেছি বারবার আমরা দেখেছি সেই পরিস্থিতি বাংলাদেশে ঘটেছে। সেই পরিস্থিতি পাকিস্তানে ঘটছে। তাদেরকে যদি সিমপ্য়াথিক্যাল গ্রাউন্ডে ভারত সরকার থাকতে দেয় তাহলে ভারত সরকার কোনও অন্য়ায় করেনি। কোনও রাজনীতি করেনি।'


তিনি আরও বিশ্লেষণ করে বলেন,'  কেননা একদা কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কারণে, ধর্মীয় কারণে, রেজলিউশন অনুসারে ভারতবর্ষ ভাগ হয়েছিল। এবং সেই ভারতবর্ষ ভাগের ফলে তারা সময় পায়নি ভারতের আঙিনায় থাকবার জন্যে। তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের ইচ্ছা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের আকাঙ্খা ব্যর্থ হয়েছে। ডিপ্লোমেসি এমন জায়গাতে পৌঁছেছিল, তাদেরকে ভাগ করে পূর্ব পাকিস্তানি, পাকিস্তানি করে দেওয়া হয়েছিল। তাই আমি মনে করি, যারা পলিটিক্য়াল গ্রাউন্ডে এটা ভাবছেন, তারা একটা প্রোপোগন্ডা রটাচ্ছেন।  আদৌ এটা কিছু নয়, এটা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের বর্তমান প্রজন্মের একটা রক্ষাকবজ বলে আমি মনে করি। যদি কেউ পলিটিক্যালি নিতে চায় আমাদের কোনও বক্তব্য নেই, তারা পলিটিক্যালি এটা নিতে পারে।'


আরও পড়ুন, ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা, দরজার মাঝে পা রাখতেই চালু হল লিফট..


তিনি আরও বলেন,' আমি মনে করি CAA কেন্দ্রীয় সরকারের এক্তিয়ারভূক্ত। নাগরিকত্ব আইনকে কার্যকর করা কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ত্বে রয়েছে। এটা রাজ্য সরকারের অংশ নয়। রাজ্য সরকারের এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনও প্রয়োজন নেই। আমার মনে হয় মমতা ঠাকুর রাজনৈতিক লোভে আজকে বড়মার আন্দোলন, আজকে পি আর ঠাকুর মশাইয়ের আন্দোলন, গত ৭৫ বছরের আন্দোলনকে আজকে অস্বীকার করছেন। উনি অস্তিত্বকে অস্বীকার করছেন সেই অস্তিত্বের ওপর দাঁড়িয়ে। শুধু রাজনৈতিক প্রলোভনের জন্য। আজকে মতুয়াদের ৭৫ বছরের আন্দোলনকে উনি অস্বীকার করছেন। ওঁর মতো আহাম্মক এই অঞ্চলে, দুনিয়ায়, মতুয়া সম্প্রদায়ে একটা খুঁজে পাবেন না।  মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ বা উদ্বাস্তু মানুষ কাকে ভোট দেবেন সেটা তাঁরা প্রশ্ন করবেন। আমরা বলে দেব না।'