কলকাতা : বাদ গেল না সপ্তম ও শেষ দফার লোকসভা ভোটেও (Seventh Phase Lok Sabha Election 2024)। সংঘর্ষ, ছাপ্পা ভোট, বুথ জ্যামের অভিযোগ, বিক্ষোভ, অবরোধ... এরকমই নানা অশান্তির মধ্যে দিয়ে শনিবার বাংলায় শেষ হল লোকসভা ভোট। সন্দেশখালি থেকে ভাঙড়়, সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল এই দুই এলাকা। বিরোধীদের ওপর হামলা। হামলা হল ভোটারের ওপরেও। অন্যদিকে, ভুয়ো ভোটার, ভুয়ো এজেন্ট-শেষ দফার ভোটে সবকিছুই দেখল বাংলা। যদিও রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের (Chief Electoral Officer Aariz Aftab ) দাবি, আজ এমনি শান্তিপূর্ণই ভোট হয়েছে। কিন্তু, কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। 


বাংলা আছে বাংলাতেই। সেই ভোট সন্ত্রাস! কথায় বলে, শেষ ভাল যার সব ভাল তার। শেষ দফার জন্য প্রস্তুতির কোনও খামতি ছিল না। কিন্তু হিংসামুক্ত ভোট করাতে পারল না কমিশন। কার্যত ঘটনার ঘনঘটা শেষ দফার ভোটেও।


সংঘর্ষ। রক্তপাত। প্রায় হাজার কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেও সেই একই ছবি ! পুলিশ-গ্রামবাসী খণ্ডযুদ্ধে দফায় দফায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল সন্দেশখালিতে। রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে চলল মহিলাদের বিক্ষোভ। শেষ দফায় সবার নজরে ছিল বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সন্দেশখালির ভোট ! ভোটের দিনই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল বেরমজুর, বয়েরখালি, আগারহাটি, কানমারি, চুঁচুড়া মোড়-সহ সন্দেশখালির একাধিক এলাকা। ভোটের দিনে ফিরল সন্দেশখালির মহিলাদের আন্দোলনের ছবি। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ...জ্বলল আগুন। পুলিশের দিকে ধেয়ে এল একের পর এক ঢিল, পাটকেল। পাল্টা লাঠিচার্জ করল পুলিশ। অথচ দুপুর একটা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলল বিকেল সাড়ে চারটেয়। পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠল ভয়ঙ্কর অভিযোগ।


সপ্তম ও শেষ দফায় শনিবার ভোট ছিল দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূলের গড় বলে পরিচিত নয়টি লোকসভা আসনে। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফল অনুযায়ী, এই ন'টি আসনই রয়েছে তৃণমূলের দখলে। এই নয়টি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মোট ৬৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬২টি আসনই রয়েছে তৃণমূলের দখলে। আর বঙ্গের শাসকদলের এহেন গড়েই, এদিন সকাল থেকে ভোটের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল অশান্তিও। 


পঞ্চায়েত ভোটকে মনে করিয়ে ভাঙড়ে সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল ও ISF। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জয়নগর লোকসভার অন্তর্গত কুলতলি। EVM, ভিভিপ্যাট পুকুরের জলে ফেলে দেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।এদিকে সন্দেশখালির সরবেরিয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ২ কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় এক তৃণমূল কর্মীর।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।