পার্থপ্রতিম ঘোষ ও রুমা পাল, কলকাতা: আজ ছিল অন্তিম দফা ভোট (Lok Sabha ELection 2024)। কিন্তু হুইলচেয়ারে এসেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হল না টালিগঞ্জের ৯২-এর বছর বয়সী বাসিন্দা মায়ালতা রায়ের। বললেন, 'আমার মনটা আজ খুব খারাপ, পরের বছর আর থাকব কি থাকব না।'
হুইলচেয়ারে এসেও কেন ভোট দিতে পারলেন না টালিগঞ্জের বাসিন্দা মায়ালতা রায় ?
কথায় বলে, ভোট মানে গণতন্ত্রের উৎসব। কিন্তু, শনিবার সেই উৎসবে সামিলই হতে পারলেন না টালিগঞ্জের বাসিন্দা বছর ৯২-এর মায়ালতা রায়। হুইলচেয়ারে এসেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করা হল না তাঁর। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার। প্রতিবারের মতো এবারও পরিবারের সঙ্গে বাড়ির পাশের মিলনগড় বালিকা বিদ্য়ালয়ের বুথে ভোট দিতে আসেন। কিন্তু, এরপরই তাঁকে জানানো হয় তিনি ভোট দিতে পারবেন না।
'মা ভোট দিতে পারল না, খারাপ লাগছে..'
ঘটনার সূত্রপাত গত ২২ মে। হোম ভোটিং-এর জন্য নব্বই পেরোনো মায়ালতা রায়ের বাড়িতে যান নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। পরিবারের দাবি, সে সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরিবারের তরফে কমিশনের আধিকারিকদের পরে আসতে বলা হয়। এর মধ্য়েই ২৪ মে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন মায়ালতা রায়। তবে, পরিবারের দাবি, কমিশনের তরফে আর কেউ যোগাযোগ করেননি। নব্বইয়োর্ধ ভোটার মায়ালতা রায়ের মেয়ে অনিতা রায় বলেন, মা ভোট দিতে পারল না। খারাপ লাগছে। পরে আসতে বলা হয়েছিল। যোগাযোগ করেনি।
আমার স্বামী স্বাধীনতা সংগ্রামী, আমি কখনও ভোট দিইনি এমন হয়নি : মায়ালতা রায়
যেদিন থেকে প্রথম ভোটার কার্ড হাতে পেয়েছেন, সেদিন থেকে কখনও ভোট দেননি এমন হয়নি। নব্বইয়োর্ধ মায়ালতা রায়ের জীবনে। তাতেই ছেদ পড়ল ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে। ভোটার মায়ালতা রায় বলেন, 'আমার স্বামী স্বাধীনতা সংগ্রামী, আমি কখনও ভোট দিইনি এমন হয়নি। যেদিন থেকে কার্ড পেয়েছি। খুব খারাপ লাগছে।'
কী বলছে নির্বাচন কমিশন ?
মায়ালতা রায়ের পুত্রবধূ বলেন, মা হাসপাতালে ভর্তি ছিল। পরে আসতে বলা হলেও আসেনি। এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, হোম ভোটিং-এর আবেদনের পর আর ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়া যায় না। ওই বৃদ্ধার নামে আগেই ব্যালট ইস্যু হয়ে যাওয়ায় তিনি ভোট দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন, ডায়মন্ডহারবারে ভোট বাতিলের দাবি শুভেন্দু অধিকারীর
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।