নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দোরগোড়ায় আচমকাই ইস্তফা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল (Election Commissioner Arun Goel)। ইতিমধ্যেই শনিবার তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি দৌপদি মুর্মু (Droupadi Murmu)। মূলত একদিকে অরুন গোয়েলের ইস্তফা এবং অপরদিকে অনুপ চন্দ্র পাণ্ডের অবসরে দুটি শূন্যপদ তৈরি হয়েছে। এদিকে রবিবারই সূত্র মারফত খবর এল যে,  ওই দুটি পদে ১৫ মার্চের মধ্য়েই দু'জন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করা হতে পারে।  


১৫ মার্চের মধ্য়েই দু'জন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগের সম্ভাবনা


লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার আগেই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। ইতিমধ্যেই পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পাঠিয়েছেন তিনি। তা গৃহীতও হয়েছে। গত সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গে এসেছিল কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তিনদিন পরেই জম্মু-কাশ্মীর যাওয়ার কথা অরুণ গোয়েলদের।মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে এসেছিলেন অরুণ গোয়েলও। তার পরেই হঠাৎ নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ছাড়া কমিশনে তো আর কেউ রইলেন না, পোস্ট তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের।
একজন নির্বাচন কমিশনার পদ এমনিতেই ফাঁকা, বিষয়টি খুবই উদ্বেগের, পোস্ট সাকেত গোখলের।


অরুণ গোয়েলের শূন্য পদে কে ? 


সূত্র মারফত খবর, সিলেকশন কমিটি মার্চের ১৩ অথবা ১৪ তারিখে ওই দুই শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে বৈঠকে বসতে পারে। বৈঠকে থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মূলত নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি। এবং তা ১৫ মার্চের মধ্যেই পূর্ণতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই খবর। 


আরও পড়ুন, আগে জানলে তৃণমূলে ফিরতাম না : অর্জুন সিংহ


অনুপ চন্দ্র পাণ্ডে ৬৫ বছর বয়সে অবসর নেন তাঁর পদ থেকে।  এদিকে তারপর পরই অরুণ গোয়েলের ইস্তফা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই  নানা গুঞ্জন ওঠে।   লোকসভা নির্বাচনের মুখেই কেন আচমকা অরুণ গোয়েলের এই ইস্তফা, তার উত্তরটা সামনে আসেনি এখনও।  ওয়াকিবহাল মহলের দাবি অনুযায়ী, ২০২৭ সাল অবধি তাঁর মেয়াদ ছিল। তিনি ৬১ বছর বয়েসে তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দেন। মূলত অনুপ চন্দ্র পাণ্ডের অবসর গ্রহণের পর, তিনি এবং রাজীবকুমারই ওই পদের কাজ সামলাচ্ছিলেন। এদিকে অরুণ গোয়েলের ইস্তফার পর, স্বাভাবিকভাবেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীবকুমার ছাড়া প্যানেলে এই মুহূর্তে আর কেউ নেই। তবে মার্চের ১৫ তারিখের মধ্যেই যাবতীয় কিছু সামনে আসবে বলেই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলে ।