সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ১৮ মে ঘাটাল থানায় দায়ের হওয়া FIR-এর ভিত্তিতে তদন্ত করতে পারবে পুলিশ। তবে, আদালতের অনুমতি ছাড়া হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা যাবে না। আগের নির্দেশ পরিবর্তন করে আজ এই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
একদিকে স্বস্তি, অন্যদিকে..
একদিকে স্বস্তি। অন্যদিকে, অস্বস্তিতে ঘাটালের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী ও অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়।লোকসভা ভোটের মুখে, বিজেপির প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের পোস্ট করা এই ভাইরাল অডিও ক্লিপটি তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল।এই ভাইরাল অডিও ক্লিপটিকে হাতিয়ার করে তৃণমূল প্রার্থী দেবকে আক্রমণও করেছিলেন হিরণ। এরপরই, ভাইরাল এই অডিও ক্লিপটি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাজি। তাতে নাম ছিল বিজেপি প্রার্থী হিরণ এবং তাঁর সেক্রেটারির। ঘাটাল লোকসভার ভোটের ঠিক দু দিন আগে, খড়গপুরের তালবাগিচায় বিজেপি প্রার্থী হিরণের আপ্ত সহায়ক, তমোঘ্ন দের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ঘাটাল ও খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। ঘাটাল থানার OC-র সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান বিজেপি প্রার্থী।
হিরণের বিরুদ্ধে তদন্ত চলবে, কিন্তু আদালতের অনুমতি ছাড়া হিরণকে গ্রেফতার নয় : বিচারপতি অমৃতা সিনহা
এরপরই, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ। ২৪ মে FIR-এর উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এরপর, সোমবার এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশে বলেন, ১৮ই মে ঘাটাল থানায় দায়ের হওয়া FIR-এর ভিত্তিতে তদন্ত করতে পারবে পুলিশ। তবে, আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। লোকসভা ভোট মিটলেও, তরজা কিন্তু চলছেই।
আরও পড়ুন, মুর্শিদাবাদে TMC-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, 'মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি', গুরুতর আহত ১ মহিলা..
পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম লোকসভা কেন্দ্র হল ঘাটাল। ২০১৪ এবং ২০১৯ পরপর দুবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন দেব। আর এবার সেই দেবের বিপরীতেই এই লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হন, তাঁর টলিপাড়ার বহুদিনের সহকর্মী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। আর এবারেও সেই গত দুইবারের ধারা বজায় রেখেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে বড়সড় ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দেব। তিনি পেয়েছেন ৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৯০টি ভোট। দেব জিতেছেন ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৬৮ ভোটে। পরাজিত বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন ৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ১২২টি ভোট।