কলকাতা: বাংলায় আশানুরূপ ফল না হওয়ার পর কারণ খুঁজতে মগ্ন গেরুয়া শিবির। দিলীপকে নিজের পুরোনো কেন্দ্রে না দাঁড় করানো নিয়ে ক্রমশ কাঁটাছেড়া চলছে। আর ঠিক এমন সময়েই একের পর এক তোপ দাগছেন দিলীপ ঘোষ 'মেদিনীপুর কার্যকর্তারাই বলেছিলেন, আমি দাঁড়ালে জিতে জেতাম', অগ্নিমিত্রা পালের মন্তব্যের পাল্টা আজ এই দাবিও করেছেন দিলীপ ঘোষ। তারপর বেলাশেষে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে লাগাতার আক্রমণের পর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টও করেছেন তিনি। বলেছেন, 'ওল্ড ইজ গোল্ড। রাজনীতিতে পুরনো লোকেদের ভুললে চলবে না।' আর এবার নাম না করে পাল্টা জবাব দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
এদিন শুভেন্দু বলেন, 'ডায়মন্ড হারবার, কেশপুর মডেলে ছাপ্পার পরও ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ভোট পাওয়া বিরাট ব্যাপার। যাঁরা এখন বড় বড় জ্ঞান দিচ্ছেন, তাঁরা মনে হয় এর আগের অতীতটা জানেন না। আগের থেকে বিজেপির অবস্থা অনেক ভাল। ২০১৯ সালে আইপ্যাক ছিল না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারও ছিল না। মুসলিমদেরকে NRC-CAA এর নামে ভয় দেখানোও ছিল না। আর পুলিশ তখন পার্টির ক্যাডের মতো আচরণও করত না।' মূলত এবারের লোকসভা ভোটে, বাংলায় বিজেপির ফল আগেরবারের থেকেও খারাপ হয়েছে। ১৮ থেকে তারা নেমে এসেছে ১২-তে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর জেলা। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ও কাঁথি, এই দুটি আসনেই এবার পদ্ম ফুঁটেছে।
আরও পড়ুন, আমার হারের জন্য দলের একাংশ দায়ী : ভোটে হার নিয়ে বিস্ফোরক বিষ্ণুপুরের TMC প্রার্থী সুজাতা
দু'জনই বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েছিলেন। দু'জনই হেরেছেন। গতবার দিলীপ ঘোষের জেতা মেদিনীপুর আসনে এবার হেরেছেন অগ্নিমিত্রা পাল। আর দিলীপ ঘোষকে জেতা আসন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে। গতবার খুব কম ব্য়বধানে জেতা বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে এবার হেরে গেছেন তিনি। তারপর থেকেই দু'জনের মধ্য়ে শুরু হয়েছে কার্যত চাপানউতোর। দিলীপ ঘোষ দাবি জানিয়ে বলেছেন,' ওখানকার কার্যকর্তাই এখন বলছেন যে আমরা দিলীপ দা থাকলে জিতে যেতাম। অনেক কিছু অনুমান করা যেতে পারে, কোনটা ঠিক সেটা তো সময় বলবে।'মেদিনীপুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, 'আমি এটা বলতে পারব না যে, দিলীপ দা ওখানে থাকলেই দিলীপদা জিততেন, আর আমি ছিলাম বলে আমি হারলাম। আমার মনে হয়, এটা ঠিক বলা উচিত নয়।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।