আশাবুল হোসেন, অনির্বাণ বিশ্বাস ও ঋত্বিক প্রধান: বাংলায় তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে সিপিএম-কংগ্রেসের (Conngress) দ্বৈরথ তুঙ্গে (CPM)। এই পরিস্থিতিতে পটনায় ১৫টি বিরোধী দলের বৈঠকে শীর্ষনেতাদের মুখে ঐক্য়বদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের কথা উঠে এলেও (Oppositions Meet), প্রশ্ন হল তা কি আদৌ সম্ভব? বাংলায় 'কুস্তি' আর দিল্লিতে 'দোস্তি, কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি (BJP)।
শুক্রবার পটনায় বিজেপি বিরোধী শিবিরের বৈঠক নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্য, "আমরা তিনটি বিষয়ে জোর দিয়েছি। একত্রিত হয়েছি আমরা। আমরা একসঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করব...আমাদের বিরোধী বোলো না।" অন্য দিকে Rahul Gandhi) কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী (ঈবলেন, "এটা বিচারধারার লড়াই। আর তাতে আমরা সকলে একসঙ্গে আছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা একসঙ্গে কাজ করব।"
পটনায় বিরোধীদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বামেরাও (Lok Sabha Elections 2023)। দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, "সংবিধানের স্তম্ভের উপর হামলা হচ্ছে। একে বাঁচানোর জন্য আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি।"
আরও পড়ুন: Opposition Meeting : 'ভোটে একসঙ্গে লড়াইয়ের বিষয়ে সবাই সহমত', বিরোধীদের বৈঠক শেষে জানিয়ে দিলেন নীতিশ
কিন্তু পটনায় ১৫টি বিরোধী দলের বৈঠকে শীর্ষনেতাদের মুখে ঐক্য়বদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের কথা উঠে এলেও, তা কি আদৌ সম্ভব? এই প্রশ্ন সবচেয়ে জোরাল হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির গতিপ্রকৃতি দেখে। কারণ বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএম এবং কংগ্রেসের দ্বৈরথ তুঙ্গে। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু-কয়লা কেলেঙ্কারি, তৃণমূলকে চাছাঁছোলা ভাষায় আক্রমণ করে চলেছে অধীর চৌধুরী-মহম্মদ সেলিমরা! পাল্টা জবাব দিচ্ছে জোড়াফুল শিবিরও।
তাই এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন, ৪২টি লোকসভা আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গে কি আদৌ তৃণমূল-কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর মধ্য়ে জোট হতে পারে? রাহুল-মমতা-ইয়েচুরি একসঙ্গে, এক বৈঠকে উপস্থিত থাকলেও একে অপরকে কি পশ্চিমবঙ্গে আসন ছাড়বে?
সাগরদিঘিতে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বায়রন বিশ্বাসের তৃণমূলে যোগদান থেকে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সংঘাত, সম্প্রতি কংগ্রেসকে তুলোধনা করেন মমতা। কয়েক দিন আগেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, "কংগ্রেস এখানে সিপিএম-এর সঙ্গে আমাদের গালমন্দ করবে, আর দিল্লিতে নিজেদের স্বার্থে আমাদের চাইবে, এটা হতে পারে না।"
এর আগে সরাসরি রাহুলকেও নিশানা করেছিলেন মমতা। তাঁর বক্তব্য ছিল, "রাহুল গাঁধীকে বিজেপি তুলে ধরতে চাইছে, কারণ রাহুল বিজেপি-র সবচেয়ে বড় টিআরপি।" কর্নাটকে বিজেপি-কে হারিয়ে ক্ষমতা দখলের পরও কংগ্রেস কিংএবং রাহুলের নাম মুখে আনেননি মমতা। আর তাই প্রশ্ন, বাংলায় 'কুস্তি' আর দিল্লিতে 'দোস্তি' কি সম্ভব? সব মিলিয়ে বিরোধীরা এক মঞ্চে এলেও, মনের মিল কোনওদিন হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।