পটনা : বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কি একজোট হতে পারবে বিরোধীরা ? কারণ, রাজ্য ভিত্তিতে বিরোধী দলগুলির নানা ইস্যু রয়েছে। এনিয়ে নানা আলাপ আলোচনার আবহেই আজ পাটনায় মেগা বৈঠকে বসে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বৈঠকের অন্যতম হোতা নীতিশ কুমার জানিয়ে দিলেন, ভোটে একসঙ্গে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এই মর্মে আরও একটি বৈঠক শীঘ্রই হবে বলে জানিয়ে দেন বিরোধীরা।


২০২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে এতদিন কার্যত ছন্নছাড়া অবস্থায় দেখা যাচ্ছিল বিরোধীদের। বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের ইডি-সিবিআইকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা-সহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ থাকলেও, এতদিন তারা একমঞ্চে আসতে পারেনি। উপরন্তু, রাজ্যওয়াড়ি বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের অনেকেই এক অপরের বিরোধিতা করেছে। এমনকী পাটনায় বৈঠকের আগে কংগ্রেসের উদ্দেশে কার্যত তিরও ছোড়ে আম আদমি পার্টি। শতাব্দী প্রাচীন দল যদি কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা না করে তারা কোনও বিরোধী জোটে শামিল হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেয় আপ। তার পরেও শেষমেষ বিরোধী দলগুলির বৈঠকে শামিল হয় তারা। যদিও বিরোধী বৈঠকের শুরুতেই আপ-কংগ্রেসের মধ্যে তিক্ততা দেখা যায়।


নীতিশ কুমারের আহ্বানে বিরোধীদের বৈঠকে এদিন হাজির হয়েছিল ১৬টি দল। চার ঘণ্টা ধরে তাদের মধ্যে আলোচনাপর্ব চলে। অবশ্য বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন না আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও ডিএমকে প্রধান এম কে স্টালিন। নীতিশের দাবি, তাঁদের বিমান ধরার তাড়া ছিল বলে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকের আগেই বেরিয়ে যেতে হয়। যদিও সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকের শুরুতেই রাহুল গাঁধী-মল্লিকার্জুন খাড়গেকে আম আদমি পার্টির তরফে প্রশ্ন করা হয়, 'আমলা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে কেন দাঁড়াচ্ছে না কংগ্রেস?' এর পাশাপাশি প্রেস বিবৃতি দিয়ে কেজরিওয়ালের দল হুঁশিয়ারি দিয়ে দেয়, 'কংগ্রেস অবস্থান স্পষ্ট না করলে সিমলায় দ্বিতীয় বৈঠকে থাকব না।' এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস-আম আদমি পার্টির তিক্ততা মেটাতে হস্তক্ষেপ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অর্ডিন্যান্স-বিতর্কে আম আদমি পার্টির পাশে দাঁড়ান।


এদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, "আগামী ১০ অথবা ১২ জুলাই পরবর্তী বৈঠক হবে। যেখানে সব রাজ্য নিয়ে রণকৌশল ঠিক করা হবে। ২০২৪ সালে আমাদের একজোট হয়ে লড়তে হবে। আমরা বিজেপি ক্ষমতাচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরবর্তী সরকার আমরাই গড়ব। "