কলকাতা: লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Elections 2024) বাংলার দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকায় নাম উঠতেই প্রচারে নেমে পড়েছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। যদিও এবার তিনি বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে লড়ছেন । এবার মেদিনীপুর আসন থেকে সরিয়ে তাঁকে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এদিকে, তাঁর অভাব বোধ করছেন মেদিনীপুরে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের একাংশ। 'আত্মবিশ্বাসী' দিলীপ ঘোষকে শূন্য রানে আউট করার হুঁশিয়ারি দেন কীর্তি আজাদ (Kirti Azad)। দোল উৎসবে এদিন সন্ধ্যায় দামোদরের ঘাটে আরতি করতে দেখা যায় দিলীপকে। আরতি সেরেই নতুন পিচে নেমে ব্যাটিং শুরু করে দেন তিনি। কী বললেন বিজেপির এই বর্ষীয়ান নেতা ?
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, মানুষ সব জায়গায় ভিড় করেন। কাউকে কেউকে দেখার জন্য করে । আর কেউ কেউ ভিড়ের দিকে যায়। তো কারও দিকে ভিড় যায়। কেউ ভিড়ের দিকে যায়। তো জানি না কে কোনটা ? দেখুন আমি তো চিরকাল মানুষের সঙ্গেই থেকেই। ভিড়েই থেকেছি। আমি যখন বাথরুমে থাকি যখন, একা থাকি। বাকি কখনও একা থাকি না। আমি বলে দিচ্ছি, আমি এমপি হয়েছি তো, এমপি হিসেবে সে বিজনেস ক্লাসের টিকিট পায়। দিলীপ ঘোষ কিন্তু ইকোনমিক ক্লাসে যায়, কারণ ভিড়ের সঙ্গে যেতে হবে বলে।'
তবে এবার কেন্দ্র বদলানোয় অনুভূতি ঠিক কেমন ? প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ জানান, এসব জায়গা আমরা সাইকেলে ঘুরেছি। আমি আরএসএস-র প্রচারে থেকেছি চারবছর এখানে। পুরো জায়গা চেনা আমার। আর প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রার্টির কাজে সব জায়গায় ঘুরেছি। তাঁরা ছোট ছিল, একন বড় নেতা হয়ে গিয়েছে। দিলীপ ঘোষের মাঠ সব জায়গায় আছে। দিলীপ ঘোষ লড়াই করে বলে, লড়াই করার লোক সঙ্গে এসে যায়। এরপরেই আসে মোক্ষম সেই মুহূর্ত।
আরও পড়ুন, ' তৃণমূলের রংবাজি দরকার হয় না..', তাপসের পাল্টা কুণাল
কীর্তি আজাদের সঙ্গে লড়তে হবে ? সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কীর্তি আজাদ তো রিটার্য়াড।আমি তো ফর্মে আছি। উনি যে দিদির হয়ে লড়তে এসেছেন না, দিদিকে এমন ঝটকা দিয়েছিলাম যে, ১৯ সালে ১২টি সিট নিয়ে নিয়েছি। উনি ইতিহাস জানেন না। উনি বর্ধমান-দুর্গাপুর জানেন না। উনি বাংলা জানেন না। বাংলার মাটিও জানেন না। টিএমসি-কেও জানেন না, যে কী জিনিস !'