রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  শিবলিঙ্গে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ (Jadavpur TMC Candidate Saayani Ghosh)। সায়নী বলেন,' প্রতিশ্রুতি না, আমরা কথা দিই না, কথা রাখি। মানুষ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জন্য তাঁকে ভোট দেবেন। কেন্দ্রের বিভেদকামী সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ লড়াই করছে। এই রাজ্যে মোদির গ্যারেন্টি বলে কিছু নেই। পশ্চিমবাংলায় যদি মানুষের কোনও ভরসা থাকে, তা হল দিদির গ্যারান্টি।'


শিবলিঙ্গে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু


রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা থেকে প্রচার শুরু করলেন যাদবপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে পুরো এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। তার সাথে ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম, সাংগঠনিক প্রধান নজরুল আলি মণ্ডল সহ তৃণমূল কর্মীরা।


'কাউকে না পেলেও ২৪ ঘণ্টা সায়নীকে পাশে পাবে'


২০১৯ সালে যাদবপুরে তৃণমূলের হয়ে জয় আনেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর, ফেব্রুয়ারিতে সরকারি কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। গত মাসেই তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে কথা বলে লোকসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। এদিকে 'কাকে পাওয়া যায়নি, না যায়নি', সেটা নিয়ে উৎসাহ না দেখিয়ে এদিন সায়নী বলেন,' বিগত তিন বছর ধরে তিনি রাজনীতি করছেন। যাদবপুরের মানুষের এটুকু ভরসা তার প্রতি আছে, যে ২৪ ঘণ্টা সায়নী ঘোষকে তাঁরা পাশে পাবে।'


আরও পড়ুন, জল্পনায় সিলমোহর, মুর্শিদাবাদ থেকে দাঁড়াচ্ছেন সেলিম, বামেদের দ্বিতীয় দফায় প্রার্থী ঘোষণা


প্রসঙ্গত, ভোট আসে, ভোট যায়, সেই সঙ্গেই প্রার্থীদের আর দেখা মেলে না বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। এটা রাজ্যের অধিকাংশ লোকসভা কেন্দ্রেই। আবার এমন উদাহরণও রয়েছে, যেখানে নিখোঁজের পোস্টার পড়ে। রাজ্যের কিছু জেলায় সাংসদের মুখ দেখলেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বলা কথা কোনওটাই খাটে না বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে বলাইবাহুল্য যেই নির্বাচনই হোক না কেন, যাদবপুর অন্যান্য কেন্দ্রগুলির মধ্যে বেশ হেভিওয়েট কেন্দ্রই। এই কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাইয়ে প্রায় সকল রাজনৈতিক দলকেই ঘাম ঝরাতে হয়। তার মধ্যে যদি অভিযোগের পাহাড় জমে, তাহলে তো বিরোধীদের উপরি পাওনা। যদিও সেই সকল তত্ব যাতে কোনওভাবেই স্থান না পায়, প্রচারে এসে তাই ঝড় তুললেন যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী।