অভিনয় জগত থেকে রাজনীতিতে আসা জয়া প্রদা বলেছেন, আজম খানের আপত্তিকর মন্তব্যে কোনও ব্যবস্থা না নিয়ে অখিলেশ দেখিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর মধ্যেও একইধরনের মানসিকতা রয়েছে।
রামপুরে জয়া প্রদার প্রতিপক্ষ আজম খান। ভোটের আগে দল পরিবর্তন করে জয়াপ্রদা বিজেপিতে যোগ দিয়ে এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন। জয়া প্রদা বলেছেন, তাঁর প্রতি আজম খানের এই বিদ্বেষ নিরাপত্তাহীনতা থেকে এসে থাকতে পারে।
৫৭ বছরের জয়া প্রদা বলেছেন, আজম খানেপ মানসিকতা খুবই নিম্নমানের। তিনি মেয়েদের অগ্রগতি পছন্দ করেন না।
অখিলেশ ও সপা-র অভিভাবকসম নেতা মুলায়ম সিংহ যাদব আজম খানের মন্তব্যের নিন্দা না করায় তিনি আঘাত পেয়েছেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে জয়া প্রদা বলেছেন, আহত হওয়ার প্রশ্ন নেই। কিন্তু আশা করেছিলেন যে, নতুন নেতাদের আধুনিক ও ইতিবাচক চিন্তাভাবনা থাকবে।
জয়া প্রদা বলেছেন, অখিলেশের উপস্থিতিতেই আজম খান এধরনের আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। তাই অখিলেশের কাছ থেকে তিনি কিছুই প্রত্যাশা করেন না।
উল্লেখ্য, আজম খানের ওই মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশন গত সোমবার তাঁর প্রচার চালানোর ক্ষেত্রে ৭২ ঘন্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এই ঘটনায় একটি এফআইআরও দায়ের হয়েছে। নোটিশ পাঠায় জাতীয় মহিলা কমিশন।
জয়া প্রদা বলেছেন, মহিলা কমিশন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গেই তারা তা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নিয়েছে। মহিলাদের মর্যাদা রক্ষা করতে না পারলে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের দাবির তো কোনও অর্থ হয় না।
আজম খানের ইস্যুতে ‘ছোটখাটো’ বলে মন্তব্য করায় জয়া প্রদা অখিলেশের স্ত্রী ডিম্পলকেও একহাত নিয়েছেন।