রুমা পাল, কলকাতা: চলতি সপ্তাহের শুক্রবার ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট। আর নির্বাচনের দিন মোতায়েন থাকছে ২৭২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় দফার ভোটে থাকবে ১২ হাজার ৯৮৩ জন রাজ্য পুলিশও।
দ্বিতীয় দফার ভোট: দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ৭৩৯টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৮৮ কোম্পানি। বালুরঘাটে রয়েছে ১৯২টি স্পর্শকাতর বুথ। মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৭৩ কোম্পানি। ২১০টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে ১১১ কোম্পানি। রায়গঞ্জে ২০ জন প্রার্থী, তাই ইভিএমে থাকবে ২টি করে ব্যালট ইউনিট। একটি ইভিএমের ব্যালট ইউনিটে ১৫ জন প্রার্থী ও একটি নোটার অপশন থাকে। রায়গঞ্জে যেহেতু মোট ২০ জন প্রার্থী, সেজন্য ইভিএমে ২টি করে ব্যালট ইউনিটের ব্যবস্থা।
এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ছিল প্রথম দফার ভোট। ওই দিনের ভোটে কোচবিহারে সবথেকে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার রাজ্য পুলিশ ছিল ভোটের নিরাপত্তায়। জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। ৩ হাজার ৪৭৫ জন রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি ভোটের নিরাপত্তায় আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
এদিকে স্ট্রং রুমে EVM কারচুপির অভিযোগ রুখতে এবার অভিনব পন্থা নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সিদ্ধান্ত, এবার থেকে স্ট্রং রুমের বাইরে নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন সবকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। স্ট্রং রুমের বাইরে শিবির তৈরি করে তাঁরা নজরদারি চালাতে পারবেন। প্রতিটি স্ট্রং রুমের বাইরে এক প্ল্যাটুন অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ২৪ জন জওয়ান মোতায়েন থাকবেন। প্রতিদিন দু’বেলা রিটার্নিং অফিসারকে স্ট্রং রুমে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তা নথিভুক্ত করতে হবে। কোনও প্রার্থী স্ট্রং রুমের অবস্থা দেখতে চাইলে, তাঁকে পেরোতে হবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়। সাদা কাগজ ও কলম ছাড়া সঙ্গে কিছুই রাখতে পারবেন না প্রার্থী। নিজের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল ফোনের নম্বর নথিভুক্ত করে প্রার্থীকে স্ট্রং রুমে ঢুকতে হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Job Seekers Agitation: বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দশ বছর পার, পথে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা