কলকাতা: মুর্শিদাবাদের সালারে বুথে দেদার ছাপ্পা তৃণমূল এজেন্টের। তাও আবার প্রিসাইডিং অফিসারের সামনেই। একের পর এক ভোটার ধরে এনে ভোট করানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতা আব্দুল মাজিদের বিরুদ্ধে। 


প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দিল কমিশন: ভরতপুরের সালারে বুথে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতা। প্রিসাইডিং অফিসারের সামনেই চলছে দেদার ছাপ্পা ভোট। একের পর এক ভোটার ধরে এনে ভোট করাচ্ছেন তৃণমূল নেতা আব্দুল মাজিদ। এবিপি আনন্দর ক্যামেরায় ধরা পড়েছে শেখপাড়া সালার ইস্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬৮ নম্বর বুথের ছবি। প্রথমে অস্বীকার, ছবি দেখাতেই আমতা আমতা করছেন প্রিসাইডিং অফিসার। এই ঘটনার পর সালারের ১৬৮ নং বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। 


এদিন ভোটার কার্ড ছাড়াই ভুয়ো ভোটার স্লিপ দেখিয়ে বোলপুরে ভোট দেয় এক নাবালিকা। এর জন্য প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বোলপুর লোকসভার  লোহাগড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৭৮ নম্বর বুথে বন্ধ থাকে ভোটগ্রহণ। অভিযোগ, ১৪ বছরের নাবালিকা ভুয়ো ভোটার স্লিপ দেখিয়ে ভোট দেওয়ার পর টনক নড়ে প্রিসাইডিং অফিসারের। পরে নাবালিকাকে আটক করে পুলিশ। কীভাবে ভোট দিতে পারল নাবালিকা? কে বা কারা পাঠাল ভোট দিতে? তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।                


এদিকে চতুর্থ দফার ভোটে, বেশ কিছু জায়গায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে এই ভূমিকায় দেখা গেল রাজ্য় পুলিশকে। সোমবার সকালে, এই লোকসভা কেন্দ্রের বড়ঞায়, হরিবাটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের বুথের বাইরে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শেদের নেতৃত্বে কংগ্রেসের এজেন্টকে বারবার বার করে দেওয়া হয়। অশান্তির খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ। প্রথমে বুথের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একজনকে ধমক দেয় তারা।এরপর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একজনকে সপাটে চড় মারতে দেখা যায় পুলিশকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই যুবক তৃণমূলের কর্মী। রাস্তা পুরো ফাঁকা করে দেয় পুলিশ। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক মোটরবাইকে শুরু হয় লাঠি দিয়ে মার। পুলিশের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'মোদির গ্যারান্টি ফোর টোয়েন্টি' আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রীর