আবির দত্ত, কলকাতা : ভোটের আবহে বাংলার দিকে দিকে সংঘর্ষ। একদিকে অগ্নিমিত্রা পাল ও মিঠুনের যৌথ রোড-শো-এ হল বোতলবৃষ্টি, আর অন্যদিকে খাস কলকাতায় তুলকালাম হয়ে গেল তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে।
মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে বেলেঘাটায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই এলাকা কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের অন্তর্গত। এখানে ২ বৃদ্ধের বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়ার সময় উত্তেজনা তৈরি হয়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, বিজেপি বহিরাগতদের এনে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।
এবার তাই নিয়েই কথা -কাটাকাটি, হাতাহাতি ও তারপর রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায়। বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূলই হামলা চালিয়েছে। ভোটের মাত্র কয়েক দিন আগে প্রকাশ্য রাস্তায় দিনের আলোয় কলকাতার প্রাণ কেন্দ্রে ঝরল রক্ত।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন কারা বহিরাগত? তিনি প্রশ্ন তোলেন , তাহলে তো তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেই বহিরাগত। শত্রুঘ্ন সিনহা থেকে ইউসুফ পাঠান, সকলের নামই টেনে আনেন তিনি। বিজেপি সমর্থকদের দাবি, আমরা যদি বহিরাগত হই, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বহিরাগত। অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থীকে দেখামাত্র গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করে তৃণমূল সমর্থকরা। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের মতো হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন :
সৃজনকেও 'বাধা', বিক্ষোভ
এদিন সকালে কলকাতা পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে, পঞ্চসায়রে প্রচারে যান যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। শহিদ স্মৃতি কলোনিতে ঢোকার মুখেই তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তখনকার মতো বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর কলোনির ভিতরে ঢোকার পর, ফের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সিপিএম প্রার্থী। তাঁর রোড শোয়ে থাকা অটোর সামনে শুয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সিপিএমের অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে হলেও, তৃণমূলের দাবি, সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।
অগ্নিমিত্রার মিছিলে বোতল
মঙ্গলবার মেদিনীপুরে দলীয় প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে রোড শো করেন মিঠুন চক্রবর্তী। মিছিল মেদিনীপুর শহরের বাটার মোড়ের কাছে পৌঁছতেই তাল কাটে। বিজেপির অভিযোগ, পাশের এই গলি থেকে একের পর এক বোতল ছোড়েন তৃণমূলের কর্মীরা। পাল্টা, বোতল ছুড়তে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদেরও। একটা সময়, গলির ভিতরের দিকে ধেয়ে যায় বিজেপির কর্মীরা। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, রীতিমতো হিউম্যান শিল্ড করতে হয় মিঠুর চক্রবর্তীর নিরাপত্তারক্ষীদের।