কলকাতা: ভোটের (Loksabha Election 2024) আগে ফের 'মনক্ষুণ্ণ' তৃণমূলের মনোরঞ্জন (Manoranjan Byapari)। দল চেয়ার দিলেও শো-পিস করে রেখেছে বলে বিস্ফোরক পোস্ট করেন বলাগড়ের বিধায়ক। তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারসভায় মাইক কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। একইসঙ্গে বলাগড়ে তৃণমূলের ফল নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন ওই এলাকারই বিধায়ক। দলীয় কোন্দল নিয়ে অবশ্য বিতর্ক এড়িয়েছেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। 



'মনক্ষুণ্ণ' তৃণমূলের মনোরঞ্জন: ভোটের মুখে ফের দলের অস্বস্তি বাড়ালেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক। মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, "দল আমাকে চেয়ার দিলেও ক্ষমতা দেয়নি, শোপিস করে রেখে দিয়েছে।'' বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে গতকাল তাঁর বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী সভায় CAA-NRC নিয়ে বলার সময়, আচমকাই তাঁকে থামিয়ে দেন মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা। এরপর সভা ছেড়ে জিরাটে নিজের MLA অফিসে চলে যান মনোরঞ্জন। লোকসভা ভোটে বলাগড় বিধানসভায় তৃণমূলের ফল নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন শাসকদলের বিধায়ক। ভোটের আগে দলীয় কোন্দল নিয়ে বিতর্ক এড়িয়েছেন হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।


 



এদিন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "আমার ধারণা যাঁরা চায় বিজেপির ক্ষতি না হোক, তাঁরা আমার বক্তব্য মাঝপথে থামিয়ে দিল। আমার দলের মধ্যেই বিজেপির লোকজন ঢুকে বসে আছে। তাঁরা দেখছে যে আমি যেসব কথা বলছি তাতে বিজেপির ভোট কমে যাবে। কোণঠাসা আমি হয়েই রয়েছি অনেকদিন ধরে। প্রার্থীর একজন সহায়ক আমাকে ওই মিটিংটায় থাকতে বলেছেন। তাই গিয়েছি। আমার কোনও যাওয়ার ইচ্ছে ছিল না। না গেলে খারাপ বার্তা যাবে, তাই গিয়েছি। কিন্তু আমার বক্তব্য রাখা যাবে না, আমি খালি গিয়ে ওখানে শো-পিস হয়ে দাঁড়িয়ে থাকব। এর জন্য আমায় যদি ডাকা হয়ে থাকে, তাহলে তো আমি যাব না। ওপার বাংলা থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁদের সামনে যে ভয়াবহ বিপদ আসছে সেই কথা বলব সেটা ওঁরা চায় না। ওঁরা চায় না বিজেপির ভোট কমুক।''


এই বিতর্কের আবহে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল এমন একটা সংগঠন যেখানে কেউ কাউকে কোণঠাসা করে না। মতবিরোধ থাকতে পারে। দিনের শেষে মনে রাখা উচিত আমরা সবকিছু ভুলে এক হয়ে থাকি। আমি সবার সঙ্গে কথা বলি।''


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: Hasnabad Fire: হাসনাবাদ স্টেশন সংলগ্ন বস্তিতে আগুন, পুড়ে ছাই সর্বস্ব