সুনীত হালদার, হাওড়া :  ৬ই মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( Narendra Modi ) কলকাতা এবং হাওড়ার মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো ( East West Metro ) পরিষেবার উদ্বোধন করেন। এরপর আজ,শুক্রবার থেকে যাত্রী পরিষেবা  চালু হয়ে গেল হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন। প্রথম দিনেই মেট্রো চেপে অফিস যাত্রীদের মধ্যে  অভিনব প্রচার সারলেন হাওড়া সদরের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী ( Rathin Chakraborty ) ।


এদিন রথীন চক্রবর্তী যাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতার পর চকলেট বিলি করে জনসংযোগ ঝালিয়ে নেন। পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তী।  প্রতিদিন হাওড়া থেকে কলকাতার নিজস্ব চেম্বারে যান গাড়িতে চেপে। শুক্রবার মেট্রো চালু হওয়ায় গাড়ি ব্যবহার না করে মেট্রোকেই বেছে নিয়েছেন বলে জানান, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র ও এ বছর হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী। পাশপাশি মেট্রো স্টেশনের বাইরে ও ভিতরে যাত্রীদের কাছে ভোটে বিজেপিকে জেতানোর আবেদন করেন। 


হাওড়া সদরের বিজেপি প্রার্থী রথীন বলেন,' আজকের এই দিনটি এক ঐতিহাসিক দিন। আমরা গর্বিত নরেন্দ্র মোদি এটা সকলের জন্য করেছেন। আমাদের কাছে কোনও বাধা বাধাই নয়। আমরা নরেন্দ্র মোদির গর্বিত সৈনিক।'  


বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন ' দেশের মধ্যে কলকাতাতেই প্রথম মেট্রোর সূচনা হয়েছিল। এরপর অনেক সরকার এসেছে, বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদিও নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়েই প্রথম গঙ্গার নিচ দিয়ে মেট্রো চালু হল। মোদি যেটা বলেন সেটাই করে দেখান, এটাই মোদির গ্যারান্টি।' 


এক সময়ে তৃণমূলে ছিলেন রথীন চক্রবর্তী। তৃণমূল পরিচালিত হাওড়া পুরসভার মেয়র ছিলেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তী। অধুনা নরেন্দ্র মোদির সেনা তিনি। গত রবিবার সকালে মধ্য হাওড়ার সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে জনসংযোগ শুরু করেন তিনি  । 


২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েও ছিলেন। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী মনোজ তিওয়ারির কাছে হেরে যান। এবার সেই পরাজিত প্রার্থীকেই হাওড়া সদর লোকসভা আসনে দাঁড় করিয়েছে বিজেপি। হাওড়ার মানুষ কি ভরসা রাখতে পারবে তাঁর উপর ? উত্তর মিলবে ভোটের ফলেই। 


 আগামীকাল, শনিবার, ১৬ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে। দুপুর তিনটেয় লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করবে কমিশন। তারপর প্রচারের তৎপরতা আরও বাড়বে, বলাই বাহুল্য। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে শুরু হতে পারে ১৬ এপ্রিল। এদিন প্রথম দফার ভোট হতে পারে। লোকসভা ভোটের সঙ্গে কিছু বিধানসভা উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। বাংলাতেই সাতেরও বেশি দফায় ভোট গ্রহণ হতে পারে।