বেঙ্গালুরু : দেশজুড়ে প্রবল গরম। তারই মধ্যে চলছে ভোট। সারা দেশে ৭ দফায় হবে ভোট। এই গরমে ভোট দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। তেমনই এক ঘটনা ঘটল শুক্রবার । বেঙ্গালুরুর ভোটকেন্দ্রে ভয়ঙ্কর অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক মহিলা। একেবারে যায়-যায় অবস্থা। ক্ষীণ হয়ে এসেছিল নাড়ির স্পন্দন।
ওই ভোটকেন্দ্রে হাজির ছিলেন বেঙ্গালুরুতেই প্র্যাকটিস করা একজন ডাক্তার । তিনি আর সময় নষ্ট না করে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এনডিটিভি সূত্রে খবর, ওই ডাক্তারের নাম ডাঃ গণেশ শ্রীনিবাস প্রসাদ। তিনি একজন নেফ্রোলজিস্ট। মহিলাকে অজ্ঞান হয়ে পড়তে দেখেই ছুটে যান তিনি। তৎক্ষণাৎ গিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা করেন তিনি দেখেন। প্রাণ যায়-যায় অবস্থা। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। ডাক্তার নাড়ির স্পন্দন পাননি সে-সময়। আর সময় নষ্ট করেননি তিনি। সঙ্গে সঙ্গে শুরু করে দেন সিপিআর। কী এই সিপিআর? কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর)। ডাক্তারবাবু সময়মত পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান মহিলা। তাঁর হৃদযন্ত্র আবার স্বাভাবিক ভাবে স্পন্দিত হতে শুরু করে।
ডাঃ প্রসাদ তাঁর X অ্যাকাউন্টে তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন। সেদিনের ঘটনার উল্লেখ করে তিনি দেখান কীভাবে ওই মহিলাকে সিপিআর দেন তিনি। "আমি যখন সারিতে অপেক্ষা করছিলাম....একজন মহিলার আমার সামনে ই সিনকোপ এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হল। কোনও স্পন্দন ছিল না ওঁর। আমি অবিলম্বে সিপিআর শুরু করেছিলাম। ভাগ্যক্রমে তিনি কয়েক মিনিটের মধ্যেই সাড়া দিয়েছেন"
শেয়ার করার পর থেকেই, ডাঃ প্রসাদের পোস্টটি লাখো দর্শকের ভিউ পেয়েছে। নেটিজেনরা ডাক্তারবাবুকে কুর্নিশ করেছে। তাঁর দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন সেখানে লিখেছেন, "স্যার হতে পারে আপনি এই মহিলাকে বাঁচানোর জন্যই সেখানে ছিলেন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আপনি সেখানে ছিলেন। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন" । "আপনাকে অভিনন্দন, ডাক্তারবাবু! এই রকম পরিস্থিতির জন্য সব পেশাদারদের জন্য সিপিআর প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। আপনার দ্রুত চিন্তাভাবনা একটি জীবন বাঁচিয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ" ।
ব্যবহারকারীরা ডাক্তারের দ্রুত চিন্তাভাবনা এবং কাজের জন্য ডাক্তারের প্রশংসা করেছেন এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শুক্রবার কর্ণাটকের ১৪ টি আসনে ভোট হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে ভোট পড়েছে ৬৯.২৩% ।