গৌতম মণ্ডল,কাকদ্বীপ: লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসার (WB Post violence) ঘটনা অব্যাহত। মঙ্গলার সন্ধ্যায় তৃণমূলের (TMC) বিজয় মিছিল থেকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল পেশায় স্কুলশিক্ষক তথা স্থানীয় এক বিজেপি (BJP কর্মীর বাড়িতে।  ঘটনাটি ঘটেছে কাকদ্বীপের হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার কাশিনগরের মধুসূদনপুর এলাকায়। এই ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় পৌঁছায় হারুউড পয়েন্ট উপকূল থানার পুলিশ। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।


আরও পড়ুন: Weather Update : ২ দিনে গরম হবে আরও তীব্র, তাপপ্রবাহের বড় সতর্কতা ৯ জেলায়


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধে ৬টা নাগাদ শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিনগর মধুসূদনপুর এলাকায় তৃণমূলের বিজয় মিছিল বের হয়। এই মিছিল থেকে আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা রাজারাম প্রধানের বাড়ির উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বাড়ি সংলগ্ন রাজারামের চাষ জমির চারপাশে তৃণমূলের ব্যানার এবং পতাকা লাগিয়ে জোর জবরদস্তি দখল করা হয় বলেও অভিযোগ। বাঁশ এবং বাটাম দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় ঘরের দরজা জানালা। 


রাস্তার পাশে থাকা লাইট পোস্ট ভেঙে ঘরের উপর ফেলা হয়। ঘরের চারিদিকে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার তার ছিঁড়ে ফেলা হয়। চিৎকার করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় রাজারাম প্রধানকে। রাজারামকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধা মাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। শ্রীনগর পঞ্চায়েতের প্রধান মনোরমা মিদ্দার স্বামী রবীন্দ্রনাথ মিদ্দার নেতৃত্বে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ।যদিও হামলার পরে ঘটনার ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। যার শুনানির সময় রাজ্য সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। প্রয়োজন পড়লে আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যে মোতায়েন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন।  তারপরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Tax Devolution to States: ভোট মিটতেই রাজ্যের করের টাকা মেটানোয় সায় কেন্দ্রের, বকেয়ার তুলনায় নগণ্য, দাবি বিরোধীদের