কলকাতা : যেদিন বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের মামলার তদন্তভার এনআইএকে হস্তান্তর করল কলকাতা হাইকোর্ট, সেদিনই জলপাইগুড়ির সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে সরব হলেন। তিনি অভিযোগ করলেন, এনআইএ-র এসপির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এনিয়ে অভিযোগ করার কথাও জানান তিনি। 


মমতা বলেন, "রামনবমী নিয়ে একটা নিজেরাই দাঙ্গা করল। তাতে NIA-কে পাঠিয়ে দিয়েছে। আমার কাছে ডকুমেন্ট আছে, বিজেপির নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এনআইয়ের এসপির সঙ্গে বৈঠক করছেন। আমরা তার অভিযোগ পাঠিয়েছি। এখানকার বিজেপি নেতারা গিয়ে বলে দেবেন, ওঁর বাড়িতে গিয়ে IT তল্লাশি চালাও। ওঁর বাড়িতে ইডি রেড করো, ওঁর বাড়িতে গিয়ে সিবিআই রেড করো। আর তৃণমূল কংগ্রেসকে করলে সব চোর। আর তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ।"


পাল্টা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, "যদি অভিযোগ করে থাকেন, তাহলে তার তদন্ত হোক। কী আর বলব। এটা বুঝতে পেরেছি যে তৃণমূল কংগ্রেস এখনও আমাদের ভয় পায়। তৃণমূল কংগ্রেস বুঝতে পেরেছে যে আগামীদিনে ওরা বাংলায় শেষ হতে চলেছে। অতীতে আমাকে অভিযুক্ত করেছিল, কম্বলকাণ্ডে দুর্ঘটনায় ক'জন মারা গেছিলেন, তার জন্য বিনা কারণে আমাকে দিল্লি থেকে গিয়ে গ্রেফতার করেছিল। জেলে ঢুকেছিলেন । আবার হয়তো নতুন ফন্দি আঁটছেন। নতুন কোনো চক্রান্ত হচ্ছে হয়তো।"  


জিতেন্দ্রর মুখে কম্বলকাণ্ড, কী ঘটেছিল ?


২০২২ সালে ১৪ ডিসেম্বর, জিতেন্দ্র-পত্নী ও আসানসোল পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারির ওয়ার্ডে কম্বল বিলি অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে এক নাবালিকা-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন চৈতালি, যিনি জিতেন্দ্রর স্ত্রী। ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই হুলস্থুল বাধে বলে জানা যায়। সেই ঘটনায় পুলিশের এফআইআর-এ জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি-সহ একাধিক নাম ছিল। অনিচ্ছাকৃত খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।  বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে পরের বছর ১৮ মার্চ, উত্তরপ্রদেশের নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর অভিযোগ আনে গেরুয়া শিবির।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।