আমডাঙা: নির্বাচনী প্রচারে এসে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 'তোর ধরো, জেল ভরো' ধ্বনিও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। এবার আক্রমণের পাল্টা জবাব দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে 'চোর' বলতে বিজেপি-কে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন ছাপাতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করলেন তিনি। বিজ্ঞাপন ছাপানোর টাকা থাকলে বাংলার প্রাপ্য বকেয়া মেটানোর কোনও গরজ কেন্দ্রের নেই বলে দাবি করেন তিনি। (Mamata Banerjee)


রবিবার ব্য়ারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভাটপাড়ায় প্রথমে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের হয়ে প্রচারসভা করেন মোদি। এর পর দুপুরে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের হয়ে আমডাঙায় সভা করেন মমতা। সেখান থেকেই মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, কথায় কথায় কোটি কোটি টাকার বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। তিন বছর ১০০ দিনের কাজ করিয়ে টাকা দিলেন না। অথচ বিজ্ঞাপনের টাকা আছে। বিজ্ঞাপন দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর বলতে হচ্ছে আপনাদের। যত ইচ্ছে বলে যান, আমার গায়ে ফোস্কা পড়বে না। আপনারা যে ভয় পেয়েছেন, এটা তারই প্রমাণ।" (Lok Sabha Elections 2024)


কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মমতা বলেন, "টাকা খরচ করে আমার বিরুদ্ধে এসব বলতে হচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস, সড়ক, ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে বাংলা পাঁচ বার এক নম্বর হয়েছে। গত ১২ বছরে বাংলায় যা কাজ হয়েছে, আর কোথাও হয়নি। আজ আপনি চোর বলছেন। তাহলে আপনার দেওয়া সার্টিফিকেটগুলি দেখাই! লজ্জা করে না! হিংসুটে, কুচুটে। কুৎসা, অপপ্রচার, মিথ্যে বলে প্রচার চলছে।"


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'বাংলায় ঢুকতে দেব না' মন্তব্য প্রত্যাহার, সন্দেশখালি-রাজ্যপাল ইস্যুতে মোদিকে আক্রমণ মমতার


মোদির আমলে দেশে চরম অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, "ইউটিউব, টিভি, কাগজ খুলুন, সব জায়গায় বাবুর জয়গান। মনে হচ্ছে দেশে আর কেউ নেই। এটা কখন হয় জানেন, মাৎস্যন্যায় অবস্থা হলে। যখন অন্য কোনও দলের কিছু  বলার থাকে না, দেশ জেলখানায় পরিণত হয়। মোদি দেশ, জাতি, ধর্ম, মায়েদের সম্মান বিক্রি করে দিয়েছেন। বকেয়া টাকা লুঠ করেছেন, নোটবন্দি করে টাকা লুটেছে, ছেলেমেয়েদের চাকরি দেয়নি।"


তাঁকে চোখ রাঙিয়ে লাভ নেই বলেও এদিন বিজেপি এবং মোদিকে বার্তা দেন মমতা।  তাঁর কথায়, "অমি চিরকাল লড়াই করেছি। আমার উপর গর্জন করলে, আমি বর্ষণ করি। তড়পালে পাল্টা দিই। ভাল মুখে বললে গাছতলা ঝাঁট দেওয়া থেকে রান্নাও করে দিতে পারি। কিন্তু কেউ যদি বলে দেখে নেব, তাহলে আমার থেকে বেশি দেখে নিতে আর কেউ পারবে না। কারণ এটাই আমাদের বাংলার মাটির শিক্ষা। আমরা মাথা নীচু করে চলি না। আমাদের চমকে ধমকে লাভ নেই।"