আমডাঙা: প্রচারে বেরিয়ে নারী সম্মান নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি মিথ্যে প্রচার করছে, আসলে তারাই মা-বোনেদের সম্মান বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন। পাশাপাশি, শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও রাজ্যপাল সিভি আনন্দকে পদে আসীন করে রাখা নিয়েও মোদিকে আক্রমণ করলেন তিনি। (Mamata Banerjee)
রবিবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভাটপাড়ায় প্রথমে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংহের হয়ে প্রচার করেন মোদি। এর পর দুপুরে আমডাঙায় তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের হয়ে প্রচারসভায় ভাষণ দেন মমতা। সেখান থেকেই মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। মমতা বলেন, "মা-বোন-কন্যা সবাই অনন্যা। এখানে সকলে ভাল আছেন, থাকবেন। আপনার (মোদির) গ্যারান্টি আমি ফুৎকারে উড়িয়ে দিলাম। মতুয়াদের জন্য CAA করবেন আপনি? ঠিক আছে তাঁদের নিঃশর্ত অধিকার দিন। মানুষকে বিদেশি বানিয়ে তাড়াতে গেলে আপনাকে বাংলায় ঢুকতে দেব না। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসতে পারেন আপনি। কিন্তু বিজেপি নেতা হিসেবে এসে আগুন জ্বালাতে পারেন না।" (Lok Sabha Elections 2024)
পরে যদিও এই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেন মমতা। জানান, মনের জ্বালা থেকে একথা বলে ফেলেছেন তিনি। বাংলায় আসতে কাউকেই বাধা দেওয়া হবে না, সকলেই আসতে পারেন। এর পর মোদিকে ফের নিশানা করে বলেন, "আগে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, সন্দেশখালির মা-বোনেদের সম্মান কী ভাবে টাকার বিনিময়ে নষ্ট করেছেন। লজ্জা করে না! মা-বোনেদের যাঁরা অসম্মান করেন, তাঁদের বড় বড় কথা শুনতে রাজি নই আমরা।"
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, "প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাজভবনের লাটু সাহেব...মেয়েরা ভয়ে ঢুকতে পারছে না রাজভবনে। আমি সাংবিধানিক সঙ্কটে পড়ে গিয়েছি। কারণ প্রয়োজন থাকলেও কাউকে পাঠাতে পারছি না। রাজভবনে কোনও মেয়ে যেতে চাইছেন না। রাজ্যপালের যে কীর্তি-কেলেঙ্কারি বেরিয়েছে, তার জন্য। কী প্রধানমন্ত্রী, আপনার উচিত ছিল না তাঁকে পদত্যাগ করিয়ে সরিয়ে নেওয়া? লজ্জা করে না! সন্দেশখালি নিয়ে এখনও মিথ্যে বলে যাচ্ছেন। সন্দেশ অপেক্ষা করছে আপনার জন্য। ভোটের রেজাল্ট মিলিয়ে নেবেন। দেশের খবর বলছে, মোদি যাচ্ছেন, হারছেন, বিদায় নিচ্ছেন।" ১০০ দিনের কাজ, সড়ক, আবাসের কাজে বাংলা পাঁচ বার প্রথম স্থান অধিকার করলে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রের মোদি সরকার বাংলাকে প্রাপ্য চাকা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা। বিজ্ঞাপনে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও, বাংলাকতে বকেয়া দিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন।