কলকাতা: সংখ্যালঘু ভোট ভাগ না হওয়ার আবেদন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় কমিশন। এজন্য সোমবার তৃণমূলনেত্রীর ভোটের প্রচারে আজ রাত আটটা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশনের। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক, আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদে ট্যুইট মমতার। আজ দুপুরে ধর্নায় বসছেন তৃণমূলনেত্রী।


তৃণমূল নেত্রীর ধরণায় বসার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট, নির্বাচন কমিশন কোনও কিছুরই পরোয়া করেন না। নিয়মকানুন মানেন না। তাই এভাবে এক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ধরণায় বসছেন।


বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও বলেছেন, তৃণমূল নেত্রী নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি দিচ্ছেন। 


উল্লেখ্য, শীতলকুচিতে চতুর্থ দফার ভোটের দিন পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। এরইমধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে কমিশনের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার পর প্রতিপক্ষ শিবিরগুলির মধ্যে বাকযুদ্ধ আরও তীক্ষ্ণ হয়েছে। বিজেপি কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। অন্যদিকে, কমিশনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিজেপি নেতাদের মন্তব্য নিয়ে নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল।


বিজেপি রাজ্য সভাপতিই বরানগরে প্রচার চলাকালে রাজ্যে  জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হওয়ার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন।   তাঁর ওই মন্তব্যের প্রসঙ্গও তুলেছে তৃণমূল।


দিলীপ ঘোষ কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মমতার ধরণার বসার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, মমতা তো কথায় কথায় রাস্তায় বসে পড়েন। সংসদে আইন পাস হলেও ওনার আপত্তি। সুপ্রিম কোর্টের রায় পছন্দ না হলেও আপত্তি জানিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। এবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের বিরুদ্ধে ধরণায় বসছেন তিনি। একজন মুখ্যমন্ত্রীর এমন শোভা পায় না বলেও মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ।


সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, অতীতে কমিশন বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। সম্প্রতি অসমে হেমন্ত বিশ্বশর্মা সহ অতীতে যোগী আদিত্যনাথের মতো বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। কিন্তু বিজেপি নেতারা কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। ধরণায় বসে পড়েননি।