কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে নরেন্দ্র মোদির ইস্তফা দাবি করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দাবি, মোদি নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি উনি। তাই অবিলম্বে মোদির পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করলেন মমতা। সরকারে টিকে থাকতে এই মুহূর্তে বিজেপি TDP এবং নীতীশ কুমারের পায়ে ধরছে বলেও দাবি করেন তিনি। (Mamata Banerjee)


মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফলঘোষণা হয়েছে। সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বিজেপি একা ২৩৯টি আসন পেয়েছে। NDA জোটের মোট আসনসংখ্যা ২৯১। I.N.D.I.A জোট পেয়েছে ২৩৪টি আসন। এর মধ্যে কংগ্রেস একা পেয়েছে ১০০ আসন। অর্থাৎ ৫৪৩ আসনের লোকসভায় সংখ্য়াগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। সেই আবহেই এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি, মোদি এবং অমিত শাহকে নিশানা করেন মমতা। নৈতিক দায় নিয়ে শাহেরও পদত্যাগ করা উচিত বলে দাবি করেন মমতা। (Mamata on Modi)


এদিন সন্ধেবেলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে তিনি বলেন, "আমি খুশি যে মোদিজি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। উনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত ওঁর। উনি বলেছিলেন, এবার ৪০০ আসন পার। আমি বলেছিলাম, ২০০ হয় কি না দেখুন। বলেছিলাম, পগার পার হবে। এখন নীতীশ কুমার, টিডিপি-র পায়ে ধরতে হচ্ছে। এরা I.N.D.I.A-কে ভাঙতে পারবে না। দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। সংসদে আর ইচ্ছে মতো আইন পাস করতে পারবে না, নৃশংসতা চালাতে পারবে না। ED, CBI ধরলে, আমরা I.N.D.I.A-ও চেপে ধরব।"


আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: দেশবাসীর উপর আস্থা ছিলই, মানুষই সংবিধান বাঁচালেন: রাহুল


এদিন মমতা আরও বলেন, "বিজেপি-র এক গদ্দার এখানে নির্বাচন করিয়েছে। আমি খুশি যে বাংলার মানুষ এই রায় দিয়েছেন। সন্দেশখালি নিয়ে এত অপপ্রচার, কুৎসা হয়েছে, মা-বোনেদের অসম্মান হয়েছে, সেখানেও জিতেছি আমরা। উত্তরবঙ্গে ওঁদের তথাকথিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন মানুষ।"


ক্ষমতায় থাকাকালীন, মোদি সরকার যা ইচ্ছে তাই করেছে, ইচ্ছে মতো আইএএস অফিসার, জেলাশাসকদের বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা। আদালতের ভূমিকা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি। জানান, খুনের মামলা থাকা সত্ত্বেও মামলা করতে দিচ্ছে না আদালত। নির্বাচন চলাকালীন ২৬ হাজার চাকরি খেয়ে নেওয়া হয়েছে, ১৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মমতা। ইডি, সিবিআই এবং এনআইএ দিয়ে লাগাতার অত্যাচার চালিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ সরেন।