কলকাতা: নারদকাণ্ডে সাফাই দিতে গিতে গিয়ে, দলীয় প্রার্থীদের পাশে না দাঁড়ালেও, বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁকে নারদ নিউজের স্টিং ফুটেজে দেখা গিয়েছিল।
কিন্তু, ১৭ তারিখ নারদ নিউজের স্টিং ফুটেজে দেখা যাওয়া তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে, ভিন্নসুর শোনা গিয়েছিল দলনেত্রীর গলায়। বলেছিলেন, প্রার্থী ঘোষণার আগে দেখলে আমি নিশ্চয় ভাবতাম, এখন সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ভোটের কথা ভেবে নারদকাণ্ডে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্যই তৃণমূল প্রার্থীদের নিয়ে এই মন্তব্য করে, বোঝাতে চেয়েছেন যে, প্রার্থী ঘোষণার আগে স্টিং-ফুটেজ প্রকাশ্যে এলে, সেখানে যাঁদের দেখা গিয়েছে, তাঁদের তিনি প্রার্থী করতেন না।

কিন্তু, এখন যেহেতু লোকসভা ভোট নেই সেজন্য তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের। দলীয় সাংসদের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে মমতা বলেন, 'রাস্তা দিয়ে আসছি, শুনছি, বলছে, কাকলি ঘোষ দস্তিদার জবাব দাও, নারদার টাকা কেন খেলে? কাকলি না ওরকম ৫০টি নারদাকে কিনে নিতে পারে, ওদের ওই সব টাকা খেয়ে, এসব করতে হয় না।'
তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য লুফে নিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, নারদকাণ্ডে এখন দু-মখো নীতি নিয়ে চলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একদিকে, ভোট বাক্সের কথা মাথায় রেখে, নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে প্রার্থীদের ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা, অন্যদিকে বাকিদের পাশে থাকার বার্তা। মানে যাঁদের এখন ভোট ময়দানে নামতে হচ্ছে না। সেজন্যই তো প্রথম থেকে নারদকাণ্ডে লোকসভার এথিক্স কমিটির তদন্তের বিরোধিতা করে এসেছে তৃণমূল। এমনটাই দাবি বিরোধীদের।