নয়াদিল্লি: দিল্লিতে তৃতীয় বারের জন্য সরকার গঠন করলেন নরেন্দ্র মোদি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। ফলে নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দল, চন্দ্রবাবু নায়ডুর তেলুগু দেশম পার্টির মতো শরিক দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জোট সরকার গড়ে উঠেছে। রবিবার দিল্লিতে মোট ৭২ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। অমিত শার, রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ী, নির্মলা সীতারামনদের যেমন তৃতীয় মন্ত্রিসভায় প্রত্যাবর্তন ঘটেছে, তেমনই শরিক দল থেকেও অনেকে মন্ত্রী হয়েছেন এবারে। তবে বিজেপি-তে 'হেভিওয়েট' বলে পরিচিত এবারে অনেকেই বা পড়েছেন মোদির মন্ত্রিসভা থেকে। (Modi Cabinet 2024)


২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর থেকে জয়ী হয়েছেন অনুরাগ ঠাকুর। এর আগে কেন্দ্রে ক্রীড়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলালেও এবার মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি তিনি। এ নিয়ে প্রশ্ন করলে অনুরাগ বলেন, "আগে দলের কর্মী আগে। হামিরপুরের মানুষ আমাকে পঞ্চমবারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত করেছেন। এটাই অনেক সম্মানের বিষয়।" এবারে যাঁরা মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁরা যথেষ্ট যোগ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ভারতকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে মোদির নেতৃত্বে তিনি কাজ করে যাবেন বলে জানিয়েছেন। অনুরাগকে কেন বাদ দেওয়া হল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে সিএএ আন্দোলনের সময় 'গোলি মারো..' মন্তব্যে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন অনুরাগ। (Modi Cabinet 2024)


এবারে মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি নারায়ণ রানেরও।  মোদির দ্বিতীয় মন্ত্রীসভায় ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এবারে মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরি-সিন্ধুদুর্গ আসন থেকে জয়ী হলেও, মন্ত্রী হতে পারলেন না তিনি। 


আরও পড়ুন: JP Nadda: মোদির মন্ত্রিসভায় ফিরলেন নাড্ডা, বিজেপি-র পরবর্তী সভাপতি কে?


২০১৪ সাল থেকে মোদি সরকারের মন্ত্রী ছিলেন স্মৃতি ইরানি। মানবসম্পদ, তথ্য ও সম্প্রচার, বস্ত্র, মহিলা ও শিশু কল্যাণ এবং সংখ্যালঘু মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন। এবারে উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে হেরে গিয়েছেন স্মৃতি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাতেও জায়গা পেলেন না।  একই ভাবে রাজীব চন্দ্রশেখর জায়গা পাননি মন্ত্রিসভায়। ২০২১ সাল থেকে বৈদ্যুতিন এবং তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী ছিলেন। এবারে তিরুঅনন্তপুরমে কংগ্রেসের শশী তারুরের কাছে হেরে গিয়েছেন রাজীব। 


এর পাশাপাশি, অজয় ভট্ট নির্বাচনে জিতেও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাননি। সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি হেরে গিয়েছেন। মীনাক্ষী লেখি এবারে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। ভিকে সিংহ এবারে নির্বাচনে নাম লেখাননি। টিকিট পাননি জন বার্লা, রাজকুমার রঞ্জন সিংহ। ভোটে লড়েননি অশ্বিনী কুমার চৌবেও। হেরে গিয়েছেন আরকে সিংহ, অর্জুন মুণ্ডা, নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার, ভারতী পওয়ার, রাওসাহেব দানভে, কপিল পাটিল। ভগবত করাদ টিকিট পাননি।