নয়াদিল্লি: নির্বাচনের ফলঘোষণার পর থেকেই জল্পনা চলছিল, তাতে সিলমোহর পড়ল রবিবার। বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা ওরফে জেপি নাড্ডা মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। বিজেপি-র দলীয় নিয়ম অনুযায়ী, একসঙ্গে সর্বভারতীয় সভাপতি এবং কেন্দ্রের মন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে পারবেন না নাড্ডা। ফলে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি পদে শীঘ্রই অন্য কাউকে আনা হতে পারে বলে জল্পনা। (JP Nadda) তবে এ নিয়ে এখনও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি।


এর আগে,২০১৪ সালে কেন্দ্রের মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন নাড্ডা। ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০২০ সালে অমিত শাহের জায়গায় বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি পদে আসীন হন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেই পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ বাড়ানো হয়। (Modi Cabinet 2024)


২০১৯ সালের জুন মাসে বিজেপি-র সর্বভারতীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয় নাড্ডাকে। দলের একাদশতম সভাপতি হন তিনি। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি পূর্ণ সময়ের সভাপতি নিযুক্ত হন তিনি। হিমাচল প্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন নাড্ডা। এ বছর ৪ মার্চ সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন। এর পর গুজরাত থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন এবছর ৬ এপ্রিল। (BJP National President)


আরও পড়ুন: Modi Cabinet 2024: তৃতীয়বার মোদি সরকার কেন্দ্রে, মন্ত্রী হলেন কারা, দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা


নাড্ডার পর বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে এর আগে মনোহরলাল খট্টর এবং শিবরাজ সিংহ চৌহানের নাম শোনা গিয়েছিল। কিন্তু রবিবার মোদির মন্ত্রিসভায় শপথ নিয়েছেন তাঁরা। ফলে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব কে পাবেন, সেই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত সেই নিয়ে কিছু খোলসা করেননি।


সংগঠক হিসেবেই বিজেপি-তে পরিচিতি রয়েছে নাড্ডার। বিহারে রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ নাড্ডার।  ১৯৮৪ সালে তাঁর নেতৃত্বেই হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে SFI-কে হারিয়ে জয়ী হয় ABVP. ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ABVP-র জাতীয় সম্পাদকও ছিলেন নাড্ডা। ৩১ বছর বয়সে, ১৯৯১ সালে বিজেপি-র যুব মোর্চার প্রধান নিযুক্ত হন। হিমাচল প্রদেশেরও মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এহেন নাড্ডার বিকল্প কে হন, সেদিকে তাকিয়ে বিজেপি-র কর্মী ও সমর্থকেরাও। 


অটলবিহারি বাজপেয়ীই বিজেপি-র প্রথম সর্বভারতীয় সভাপতি। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব সামলান তিনি। এর পর লালকৃষ্ণ আডবাণী, ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওই পদ সামলান। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত মুরলি মনোহর জোশী সভাপতি ছিলেন। এর পর আবারও ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিজেপি-র সভাপতি হন আডবাণী। এর পর একে একে কুশাভাউ ঠাকরে, বঙ্গারু লক্ষ্মণ, জন কৃষ্ণমূর্তি এবং আবারও আডবাণী দায়িত্ব সামলান। ২০০৫ সাল নাগাদ দায়িত্বে আসেন রাজনাথ সিংহ। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন নিতিন গডকড়ী। আবারও ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সভাপতি হন রাজনাথ সিংহ। ২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন অমিত শাহ। এর পর দায়িত্ব পান নাড্ডা।