অনির্বাণ বিশ্বাস, কলকাতা: পুরভোটের আগে কলকাতাবাসীর জন্য সুখবর। সম্পত্তির বকেয়া কর যতই হোক না কেন ৬ বছরের কর মেটালেই হবে। 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে অভিযোগ পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার।
সম্পত্তি কর নির্ধারণে কলকাতায় চালু হয়েছে ‘ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট’। সেই হিসেবেই কর দিতে হচ্ছে সবাইকে। কিন্তু কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, যে পরিমাণ সাড়া মিলবে বলে আশা করা হয়েছিল, শহরবাসীর কাছ থেকে তেমন সাড়া মেলেনি।
এই প্রেক্ষিতে সম্পত্তি করে বিপুল ছাড় দিয়ে আয় বাড়ানোর রাস্তায় হাঁটছে কলকাতা পুরসভা।  বকেয়া করের অঙ্ক যাই হোক না কেন, ৬ বছরের কর মেটালেই হবে। শনিবার 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানে মেয়রকে ফোন করেন গড়িয়ার বাসিন্দা শান্তিকুমার ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, ১৯৯৫ সালের একটি সম্পত্তির বিপুল বকেয়া কর তাঁর ঘাড়ে চেপে গিয়েছে।
এদিন ফোন করেন একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা দীপক ভট্টাচার্যও। তাঁর অভিযোগ, নতুন ব্যবস্থায় ব্যাপক বেড়ে গিয়েছে সম্পত্তি কর। এরপরই মেয়র আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, পুরনো মালিকের বকেয়া কর যেন নতুন মালিকের ঘাড়ে না চাপে। পুর-আধিকারিকদের মেয়র বলেন, যাদের সামনে পাচ্ছেন, তাদের গলা কাটছেন। যাদের পাচ্ছেন না তাদের কিছু করতে পারচেন না। আমি জিআর-এর বিরুদ্ধে। এরপরই সিদ্ধান্ত হয়, বকেয়া কর ছাড় দেওয়ার।


কীরকম হবে সেই ছাড়?
ধরা যাক, ১৯৯৫ সালে তৈরি একটি বাড়ির মূল্যায়ন ও কর বাকি রয়েছে। ২০০৫ সালে অন্য ব্যক্তি সেই বাড়িটি কিনলেন বা উত্তরাধিকার সূত্রে পেলেন। আগের হিসেব অনুযায়ী, ১০ বছরের বকেয়া কর চাপত নতুন মালিকের ঘাড়ে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, শুধু মাত্র শেষ ৬ বছরের কর মেটালেই হবে। ফিরহাদ হাকিমের মতে, তিনি কারও ওপর করের বোঝা চাপাতে চান না। বলেন, আমরা চাই আনন্দে কর দিক মানুষ। বোঝা চাপাতে চাই না।
পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতায় কর ব্যবস্থার আওতায় রয়েছেন ৮ লক্ষ মানুষ। কিনতু এখন পর্যন্ত মাত্র ১ লক্ষ ৭৫ হাজারের কিছু বেশি করদাতা ইউনিট এরিয়া কর ব্যবস্থায় এসেছেন। আরও বেশি মানুষ যাতে কর দিতে উদ্যোগী হন তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে পুরসভা সূত্রে খবর।