কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের মুখ্যমন্ত্রীকে শোকজের জবাব দিল নবান্ন।
বেআইনি কয়লাখাদানগুলি কীভাবে আইনি করে ব্যবহার করা যায়, এ প্রসঙ্গে নির্বাচনী জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, আসানসোলকে পৃথক জেলা হিসেবে তৈরি করার কথাও বলেছিলেন তিনি। কমিশনের চোখে, এই দুটি মন্তব্য করেই নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন তৃণমূলনেত্রী। আর সে কারণেই তাঁকে শোকজ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কমিশনকে এর জবাব দিয়েছেন মুখ্যসচিব। বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন,

বেআইনি কয়লাখাদানগুলিকে কীভাবে ব্যবহার করা যায় এ নিয়ে অনেক দিন ধরেই কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। সেই সব আলোচনা যা উঠে এসেছে, সে সব কথাই মুখ্যমন্ত্রী সভায় জানিয়েছিলেন। নতুন কিছু ঘোষণা করেননি।

আসানসোলকে পৃথক জেলা করার সিদ্ধান্তও আগেই নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের কথা সরকারের তরফে জানানোও হয়। সে কথাই মুখ্যমন্ত্রী সভায় গিয়ে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়েও নতুন কিছু ঘোষণা করেননি।

এরপর মুখ্যসচিব দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল, আরও বেশি করে খবর নিয়ে শোকজের নোটিস পাঠানো।

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, শোকজের জবাবে যা লেখা হয়েছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তিনি মানতে নারাজ।

এদিকে, রাজ্যের দুই অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, দিব্যেন্দু সরকার এবং সুরেন্দ্রনাথ গুপ্তকে, রাজ্য সরকারের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য নবান্নকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। কারণ, কমিশন চায়, তাঁরা এখন শুধুই ভোটের কাজ করুন। সূত্রের খবর, সুরেন্দ্রনাথ গুপ্ত, রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের আধিকারিক। আর দিব্যেন্দু সরকার, পঞ্চায়েত দফতরের। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এই নির্দেশ দিয়ে কমিশন বুঝিয়ে দিল, তারা রাজ্য সরকারের সংস্পর্শ এড়াতে চাইছে।