পটনা: জল্পনা, অনুমান সত্যি প্রমাণ করে শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহী শত্রুঘ্ন সিনহাকে টিকিট দিল না বিজেপি। শনিবার বিহারে ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৯টিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি-এনডিএ। তাতে নাম নেই বিহারি বাবুর। তিনি বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত যে পটনাসাহিব কেন্দ্র থেকে দুবার জয়ী হয়েছেন, সেখানে এবার টিকিট দেওয়া হল জোটের বড় শরিক বিজেপির উল্লেখযোগ্য মুখ হলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। শত্রুঘ্ন বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্রোহের সুর চড়াচ্ছেন কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন দলের জোট সরকারের বিরুদ্ধে। নোট বাতিল, জিএসটি, বেকারি, রাফাল যুদ্ধবিমান ডিলের মতো ইস্যুগুলিতে বিরোধী নেতাদের সুরেই মোদি সরকারকে লাগাতার আক্রমণ করছেন তিনি। কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ, দিল্লিতে গত মাসে বিরোধী সমাবেশেও হাজির ছিলেন তিনি।
এজন্য শত্রুঘ্নকে টিকিট দেওয়া হবে না বলে শোনাই যাচ্ছিল। তিনি শিবির বদলে কংগ্রেসে যাচ্ছেন, তাদের প্রার্থী হচ্ছেন বলেও জোর জল্পনা চলছে।
এদিন বিজেপি জোটের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক তথা বিহারে দলের ইনচার্জ ভূপেন্দ্র যাদব। তিনি জানান, আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে তাঁর কেন্দ্র নওয়াদা থেকে সরানো হয়েছে বেগুসরাইয়ে। নওয়াদা আসনটি বিজেপি ছেড়েছে শরিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানের লোকজনশক্তি পার্টি(এলজেপি)কে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যরা, রাধামোহন সিংহ, আর কে সিংহ, অশ্বনী কুমার চৌবে, রামকৃপাল যাদব প্রার্থী হচ্ছেন যথাক্রমে মোতিহারি, আরা, বক্সার, পাটলিপুত্র থেকে। শরিক এলজেপি রাজ্য সভাপতি পশুপতি কুমার পরশ হাজিপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নিজের বড় ভাই রামবিলাসের বিরুদ্ধে। রামবিলাস রাজ্যসভার টিকিট পেতে পারেন বলে খবর। রামবিলাসের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান জামুই থেকে ফের প্রার্থী হচ্ছেন। খাগাড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রটিও পেয়েছে এলজেপি। সেখানে প্র্রার্থীর নাম শীঘ্রই ঘোষিত হবে বলে জানান ভূপেন্দ্র।
গত ১৭ মার্চ বিহারে এনডিএ-র তিন শরিক বিজেপি, নীতীশ কুমারের জেডি (ইউ), এলজেপি কে কটি আসনে লড়বে, ঘোষণা করে। এলজেপি-কে ৬টি আসন ছেড়ে বিজেপি, জেডি (ইউ)১৭টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানায়।