কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। যদিও, রাজ্য় পুলিশে আস্থা রাখার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, প্রতিবুথে সশস্ত্র পুলিশ দেওয়ার মতো কর্মীসংখ্য়া, রাজ্য় পুলিশের কি আছে?
সিকিম, তেলঙ্গানা,ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023), এই চার রাজ্য থেকে পুলিশ এসেছিল পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু এবার কার নিরাপত্তায় হবে, পঞ্চায়েত ভোট? শেষ পর্যন্ত কি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পূর্ণ নিরাপত্তায় ভোট করানোর পথে হাঁটবে রাজ্য় সরকার ও রাজ্য় নির্বাচন কমিশন? না কি রাজ্য পুলিশের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হবে ভিন রাজ্য়ের পুলিশকে? এনিয়ে, মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে, মোট বুথ রয়েছে ৬১ হাজার ৬৩৬টি। এর ফলে, প্রতি বুথে ২ জন করে নিরাপত্তারক্ষী দিতে হলেও দরকার, ১ লক্ষ ২৩ হাজার ২৭২ জন। এরসঙ্গে, প্রতি নির্বাচনী কেন্দ্রের গেটে ২ জন করে সশস্ত্র পুলিশ দিতে হবে। এছাড়াও, ভোটের দিন ও তার আগের নাকা তল্লাশি থেকে টহলদারি, রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে থাকা, কুইক রেসপন্স টিম, মোবাইল ফোর্স, থানার রিজার্ভ ফোর্স, ব্যালট নিয়ে যাওয়া, স্ট্রংরুম-সহ অতিরিক্ত বেশ কয়েক হাজার পুলিশ প্রয়োজন হবে। কিন্তু, রাজ্য়ের হাতে এত পুলিশ নেই। সূত্রের দাবি, রাজ্য পুলিশে ৮০ হাজার কর্মী রয়েছে। কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন ডেপুটি কমিশনার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “৬১ হাজার কেন্দ্র, বুথে সাত থেকে আট জন পুলিশ লাগবে। পুলিশের সংখ্যা যত বেশি থাকবে তত ভাল হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী যেবার এসেছিল, তখন ভাল হয়েছিল।’’ এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কীভাবে রাজ্য় পুলিশ দিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট সম্ভব? প্রাক্তন এডিজি চয়ন মুখোপাধ্য়ায়, “পঞ্চায়েত ভোট চ্যালেঞ্জিং ভোট, কারণ গ্রাউন্ড লেভেলে হয়। একদিনের বদলে, তিন দিলে হলে ভাল হত। কেন্দ্রীয় বাহিনী আনা নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করছে।’’ ২০১১ সালে, বিধানসভা ভোটে রাজ্যে এসেছিল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। সে সময়ের, ৪ কোটি এখনও বকেয়া রয়েছে। এনিয়ে সম্প্রতি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেয় উত্তরাখণ্ড পুলিশ। এই অবস্থায়, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন কোন পথে এগোয়, সেদিকেই সবার নজর।
আরও পড়ুন: Food Tips: পাতে কোন পেয়ারা? কাঁচা না কি পাকা? কোনটায় বেশি উপকার?