সমীরণ পাল, আমডাঙা : ভোট গণনা শুরুর আগে উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Paragana) সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণের (CPM Candidate Kidnapped) অভিযোগ। আমডাঙার (Amdanga) চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫৭ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গণনাকেন্দ্রের সামনে থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়।


কীভাবে অপহরণ ?


ভোটের দিন থেকেই আমডাঙার চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের শশীপুর গ্রাম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে। আজ সকালে চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী কুতুবউদ্দিন আমডাঙার গণনাকেন্দ্র সাধনপুর উল্টোডাঙা তুলসীরাম হাই স্কুলে যাওয়ার সময়, গণনাকেন্দ্রের সামনে থেকে তাঁকে তৃণমূল সমর্থকরা অপহরণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনা নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে সিপিএমের তরফে। আমাডাঙার থানার আইসিকেও জানানো হয়েছে। যদিও এনিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 


ভোট লুঠের অভিযোগ ঘিরে শনিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা ! রবিবার সকাল থেকে ফের অশান্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা ! ভোট লুঠের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ঘিরে সংঘর্ষে জড়ান সিপিএম ও তৃণমূল কর্মীরা। জখম হন উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক। ভাঙচুর চলে পুলিশের গাড়িতে। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় পুলিশ বাহিনী। 


আমডাঙার চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩ নম্বর বুথে শনিবার ভোট শুরুর পরই ঝামেলা শুরু হয়। প্রিসাইডিং অফিসারের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ব্যালট পেপারে সই করিয়ে নিয়ে ভোট লুঠের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভেঙে দেওয়া বুথের ভিতরের সিসি ক্যামেরা। বন্দুক ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বুথের নিরাপত্তায় থাকা একমাত্র কনস্টেবলের। 


আমডাঙার সেই চণ্ডীগড় গ্রাম পঞ্চায়েতেরই শশীপুর গ্রাম গতকাল সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সিপিএম ও ISF-এর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগের তত্ত্ব খাড়া করে তৃণমূল। দু'পক্ষের সংঘর্ষে এদিন আহত এক সিপিএম কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশবাহিনী। 


প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদেও ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের ছবি দেখা যায়। একাধিক মোটরবাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি বোমা। হাসনাবাদের আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের আশাড়িয়া গ্রামে আশাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৫ ও ৮৬ নম্বর বুথে রাত ২টো পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। অভিযোগ, তৃণমূলের বাইক বাহিনী বুথ দখল করতে আসে। গ্রামবাসী ও বিরোধীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাড়া করলে বাইক ফেলে বোমা ছুড়তে ছুড়তে পালায় দুষ্কৃতীরা। উত্তেজিত জনতা বাইক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।