সমীরণ পাল, বাগদা: প্রথমে মনোনয়ন জমা দেওয়া ঘিরে টানাপোড়েন (Panchayat Elections 2023)। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা বলে অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। তার পর আবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্যও চাপ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার বাগদায় (Bagdah News) সিপিএম (CPM) প্রার্থী ভাইয়ের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করাতে পারায়  তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হলেন INTTUC নেতা। 


উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা পূর্বের INTTUC ব্লক সভাপতি গণেশ ঘোষ। তাঁকেই তৃণমূল বহিষ্কার করেছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, গণেশের ভাই সিপিএম-এর টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ভাইকে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করাতে পারাতেই দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে গণেশকে। 


তবে শুধু ভাইয়ের মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে না পারার জন্যই নয়, দীর্ঘ দিন ধরেই গণেশকে নিয়ে অভিযোগ জমা হচ্ছিল বলে দলীয় সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিতরণ নিয়ে দলের মধ্যে অসন্তোষ ধরা পড়ে। তাতে গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার অভিযোগ ওঠে, অর্থাৎ টিকিট না পেয়ে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়ানোর হিড়িক দেখা যায়। 


আরও পড়ুন: Panchayat Elections 2023: তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসানোই লক্ষ্য! ‘আমাদের একবার সুযোগ দিন’, নদিয়ায় বললেন শুভেন্দু


গণেশের বিরুদ্ধেও তেমন অভিযোগ ছিল বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। যে কারণে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার অভিযোগ উঠলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। গোঁজ প্রার্থীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে লিফলেট বিলি করে ভোটে না লড়ার কথা জানানোর নির্দেশ দেন বাগদার তৃণমূল বিধায়ক।


তার পরও গণেশ নিজের ভাইয়ের মনোনয়ন প্রত্যাহার করাননি বলে অভিযোগ। সেই আবহেই তাঁকে বহিষ্কার করা হল। এ নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র কটা৭ করেছে বিজেপি। তাদের স্থানীয় নেতৃত্বের মতে, ভোটে জিতলে এই বিক্ষুব্ধরাই শাসকদলের গলার মালা হয়ে যাবে। 


অন্য দিকে,দল তাঁর মনোনীত প্রার্থীদের টিকিট দেয়নি বলে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বাদুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক কাজি আবদুর রহিম দিলু। এবার টিকিট-বিক্ষোভে ভাঙন ধরল শাসক শিবিরে। তৃণমূল বিধায়কের ভাই-সহ হাজার খানেক কর্মী, সমর্থক যোগ দিলেন বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফে।


বাদুড়িয়ার যদুরহাটি দক্ষিণ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকনা গ্রামে এই যোগদান কর্মসূচি হয়। তৃণমূল বিধায়কের ভাইয়ের দাবি, দুর্নীতির প্রতিবাদেই শাসকদলের সঙ্গত্যাগ করেছেন তাঁরা। বাদুড়িয়ার বিধায়ক কাজি আবদুর রহিম দিলুর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল শিবির।