ইভিএমে প্রোগ্রামিং বিভ্রাট হওয়া সম্ভব বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে টিডিপি নেতা এন চন্দ্রবাবু নাইডুর দাবি, বিজেপি শুধু কলকাঠি নেড়েই ভোট পেতে পারে। ইভিএমে কলকাঠি নাড়া যায়, তা হ্যাক করা যায়, এমনকি তা গণ্ডগোলও করতে পারে। দুনিয়ার মাত্র ১৮টি দেশ এখনও পর্যন্ত ইভিএম চালু করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, তাঁর রাজ্য, কেরল, গোয়া ও উত্তর প্রদেশ থেকে প্রথম দফার ভোটে ইভিএমে গণ্ডগোল, বেছে বেছে তাতে কলকাঠি নাড়ার একাধিক ঘটনার খবর এসেছে।
তিনি জানান, বিরোধীরা এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে, ভোটগণনার সময় স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত করার স্বার্থে অন্তত ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ মিলিয়ে দেখার দাবি জানাবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি-সব কিছুরই হাল খারাপ বলে অভিযোগ করেন তিনি। নির্বাচন কমিশন ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েছে বলে কটাক্ষ করে আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ বলেন, বোতাম টিপুন, ভোট পড়ছে বিজেপির ঘরে! অন্তত ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট মেশিন গণনার দাবি একেবারেই অযৌক্তিক বলে দাবি করেন কংগ্রেস নেতা সুশীল কুমার শিন্ডে।
এদিকে সমাজবাদী পার্টি (সপা) সভাপতি অখিলেশ যাদব মঙ্গলবার সারা দেশেই ইভিএমে গন্ডগোল হয়েছে বা তাতে বিজেপির পক্ষে ভোট পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। নির্বাচন কমিশনকে ট্যাগ করে ট্যুইটে তিনি বলেছেন, গোটা দেশে ইভিএম অস্বাভাবিক আচরণ করছে বা বিজেপির পক্ষে ভোট চলে যাচ্ছে। জেলাশাসকরা বলছেন, ইভিএম চালানোর প্রশিক্ষণ পাননি ভোটকর্মীরা। সাড়ে তিনশর বেশি যন্ত্র বদলানো হয়েছে। যে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে, সেখানে এটা ক্ষমার অযোগ্য ত্রুটি। ডিএমদের কথা কি বিশ্বাস করব না কি এর গভীরে আরও খারাপ কিছু আছে?