কলকাতা: তৃতীয় দফার ভোটের তিন দিন আগে, অনুব্রত মণ্ডল নিয়ে নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়াল বিরোধীরা! প্রত্যেকেরই দাবি, ব্যবস্থা নিতে হবে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে!
রবিবার তৃতীয় দফার নির্বাচনে সবার নজর বীরভূমের। আর নজর যখন বীরভূমে তখন স্বাভাবিকভাবেই সবার নজর তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দিকেও। যার হুমকি, হুঁশিয়ারি ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিরোধী দল থেকে শুরু করে বিদ্বজ্জন-- প্রত্যেকে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কমিশনের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া বলেন, কমিশনকে বলেছি, অনুব্রতকে সেফ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়ে রাখুন। সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, অনুব্রত বলছে বিরোধীদের ভোট দিতে দেবে না। এটা কমিশনকে চ্যালেঞ্জ। বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহও অনুব্রতর বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। কমিশনের ফুল বেঞ্চকে বলেছেন, অনুব্রতকে দেখুন।

শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নন, অনুব্রত-আশঙ্কা নিয়ে চিন্তিত বিদ্বজ্জনদের একাংশও। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় সকলেই অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান কমিশনের কাছে।
লাগাতার চাপের মুখে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
যদিও, এতকিছুর পরও অনুব্রতর পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বিরোধীরা কটাক্ষের সুরে বলছে, মমতা অনুব্রতর পাশে দাঁড়াবেন না কেন! কারণ, ভোটটা তো অনুব্রতই করান! তাই তাঁর এইসব হুঁশিয়ারি পরও কোনও দোষ খুঁজে পান না মমতা।

শুধু বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাই নয়, বীরভূমের পুলিশ সুপারকেও সরানোর দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা। রাজনৈতিক সংঘর্ষে সাম্প্রতিককালে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে বীরভূম। ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের ঘরে বসিয়ে ফাঁকা মাঠে গোল করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।নারদের স্টিং ফুটেজ সামনে আসার পর যে অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে নালিশ করার পর, রবিবারের ভোটে বীরভূমে ছবিটা আগের ভোটগুলির তুলনায় পাল্টায় কি না দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।