কলকাতা: রক্তস্নাত ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll 2023)। উত্তর থেকে দক্ষিণ, জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার দিন থেকে গত ৩২ দিনে মোট ৩৫ জন প্রাণ হারালেন বাংলায়। শুধু ভোটের দিনই নিহত ১৫। 

৯ জুন: মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ।

১৫ জুন: মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে ভাঙড়ে খুন তৃণমূল কর্মী রশিদ মোল্লা ও রাজু নস্কর। একই দিনে খুন হন ISF কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লাও।

১৫ জুন: মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোজাম্মেল শেখও খুন হন।

১৭ জুন: মালদার সুজাপুরে পিটিয়ে খুন করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাফা শেখকে।

একই দিনে খুনের ঘটনা ঘটে কোচবিহারের দিনহাটায়। খুন হন শম্ভু দাস নামে বছর ২৭-এর এক বিজেপি কর্মী।

১৫ জুন: মনোনয়নের শেষ দিনে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বাম-কংগ্রেসের মিছিলে গুলিবিদ্ধ হন সিপিএম কর্মী ২১ বছরের মনসুর আলম। ২১ জুন হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

২২ জুন: পুরুলিয়ায় রেলশহর আদ্রায় পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূলের শহর সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে।
২৪ জুন: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী আলিম বিশ্বাসের।

২৭ জুন: কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহে জারিধরলা গ্রামে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী বাবু হকের।

১ জুলাই: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চে খুন হন যুব তৃণমূল কর্মী জিয়ারুল মোল্লা। তৃণমূল-যুব তৃণমূলের কোন্দলে খুন বলে অভিযোগ।

৩ জুলাই: ভোরে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার শালিপুরে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী পরিতোষ মণ্ডলের।

৪ জুলাই: উ. ২৪ পরগনার দেগঙ্গার গাঙাটি গ্রামে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তৃণমূল সমর্থক ১৭ বছরের ইমরান হোসেনের।

৫ জুলাই: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দুষ্কৃতী কামাল শেখের।

৬ জুলাই: বীরভূমের মহম্মদবাজারে নির্দল প্রার্থীর স্বামী ও বিজেপি নেতা দিলীপ মাহারাকে গুলি করে খুন করা হয়।

একই দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতে কংগ্রেস নেতা আলফাজুদ্দিন হালদারকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

৭ জুলাই: মুর্শিদাবাদের রানিনগর ১ নম্বর ব্লকের হেরামপুর পঞ্চায়েতের রায়পুরে কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলকে পিটিয়ে খুন করা হয়।

একই দিনে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় তৃণমূল কর্মী বাবর আলি খুন হন।

৭ জুলাই: কোচবিহারের তুফানগঞ্জে খুন হন তৃণমূল কর্মী গণেশ সরকার।

আর পঞ্চায়েত ভোটের আগের রাত থেকে পরপর ১৬ জনের প্রাণহানি। মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের ঝিকরায় তৃণমূল কর্মী ইয়াসিন শেখকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। খড়গ্রামে খুন হন কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখ খুনে মূল অভিযুক্ত আবদুল্লা শেখের বাবা তৃণমূল সমর্থক সত্তরউদ্দিন শেখ। কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৮ নম্বর বুথে বিজেপি প্রার্থী মায়া ভৌমিক সরকারের পোলিং এজেন্ট মাধব বিশ্বাসকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মালদার মানিকচকে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রামে তৃণমূল কর্মী শেখ মালেককে গুলি করে, বোমা মেরে খুন করা হয়।
পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে পঞ্চায়েত ভোট-সন্ত্রাসের শিকার হন সিপিএম কর্মী রাজিবুল হক। ভোটের আগের দিন তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন ওই বাম কর্মী।

নদিয়ার চাপড়ার কল্যাণদহে কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে ধারাল অস্ত্রের কোপে জখম তৃণমূল কর্মী আমজাদ আলি হালসানার মৃত্যু। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৯২ নম্বর বুথের ভিতরে বোমাবাজি। ভোট দিতে এসে বোমার আঘাতে মৃত্যু তৃণমূল প্রার্থী রফিয়া ওস্তাগরের দেওর আনিসুর ওস্তাগরের।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২ নম্বর ব্লকের শ্রীবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থীর বুথ এজেন্ট গৌতম রায়কে পিটিয়ে খুন। মুর্শিদাবাদের লালগোলায় ময়া ছাইতনি প্রাইমারি স্কুলে বুথ দখল ঠেকাতে গেলে সিপিএম সমর্থক রওশন আলিকে পিটিয়ে খুন করা হয়। নওদায় বোমা মেরে খুন করা হয় কংগ্রেস কর্মী লিয়াকত শেখকে।

কোচবিহারের দিনহাটার ভিলেজ ওয়ানে কালীর পাট মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে বুথের বাইরে গুলি। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু চিরঞ্জিত কারজি নামে এক ভোটারের। তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর দাবি, নিহত যুবক তাঁদের দলের কর্মী ছিলেন। নিহতের মায়ের দাবি, ছেলে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ায় তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের। একই জেলায় গোয়ালপোখর ১ নম্বর ব্লকের সাহাপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াহাটে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয় কংগ্রেস কর্মী মহম্মদ জামিরুদ্দিনের। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

মালদার বৈষ্ণবনগরের ভগবানপুরে তৃণমূল কর্মী মতিউর রহমানকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।কুলতলির পশ্চিম গাবতলা ৯০ নম্বর বুথের কাছে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় তৃণমূল কর্মী আবু সালেম খাঁ-র মৃতদেহ। মুখ থেঁতলানো। বাঁশ, লাঠি দিয়ে মেরে গুলি করে খুনের অভিযোগ বিজেপি ও সিপিএমের বিরুদ্ধে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: Vastu Tips : সপ্তাহের এই ২ দিন ধূপকাঠি জ্বালাবেন না, ঋণের ফাঁদে পড়তে পারেন; হতে পারে পিতৃ দোষও!