সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ডায়মন্ড হারবারে দুই বাম প্রার্থীকে চাপ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের অভিযোগ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন দল গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ডায়মন্ড হারবারের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে দুই সিপিএম প্রার্থীকে চাপ দিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এই অভিযোগ খতিয়ে দেখবে কমিশন। আগামী সোমবার হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
হাইকোর্টের নির্দেশ: অন্যদিকে মনোনয়নপত্র বিকৃত করেছেন বিডিও। উলুবেড়িয়ার সিপিএম প্রার্থীদের আনা এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার পর্যন্ত অর্ন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
খুন, বোমাবাজি, রাজনৈতিক সন্ত্রাস, গাড়িতে আগুন.. পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বে সবচেয়ে বেশি অশান্তির কারণে রোজ শিরোনামে উঠে এসেছে ভাঙড়। বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দিতে বিডিও অফিসের গেট পর্যন্ত আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিডিও অফিসের কর্মীকেও। অভিযোগ, মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি ভাঙড়ে তৃণমূলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসএফের বহু প্রার্থী।
শুধু মনোনয়ন পর্বেই ১০ জনের মৃত্যু: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেই বেনজির হিংসার ঘটনা ঘটেছে বাংলায়। শুধু মনোনয়ন পর্বেই রাজ্যে প্রাণ গেছে ১০ জনের! এবার শুরু হয়েছে ভোটের প্রচার। ভোটদান এবং ভোটগণনার পর্ব এখনও বাকি! এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন মালদার মানিকচকের ১৭ জন কংগ্রেস প্রার্থী! তাঁদের মধ্যে ১৫ জন গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির দুই কংগ্রেস প্রার্থীও।
গত ১৭ জুন, রাতে এই গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই বালুটোলা গ্রামে কংগ্রেস প্রার্থী শরিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় কয়েকজন কংগ্রেসকর্মীর বাড়িতেও সেদিন হামলা হয় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে মামলাকারী কংগ্রেস প্রার্থীদের অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হওয়ায় তাঁদের বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ভয়ে তাঁরা প্রচারেও বেরোতে পারছেন না। এই অবস্থায় ভোটের ফল বেরনো পর্যন্ত নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস প্রার্থীরা। আবেদন শুনে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।