কলকাতা: বাসন্তীতে জেতার পর বিজেপির (BJP) উচ্ছ্বাস। তাড়া করে বিজেপি কর্মীদের পুকুরে ফেলল পুলিশ। পুলিশের অতিসক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি কর্মীরা। 


'মার' থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ: মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে ভোটের দিন পর্যন্ত, দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় বাসন্তী। বিজেপির দাবি তাঁদের কর্মী জিতেছিলেন এবং তাঁদের তাড়া করে পুলিশ জলে ফেলে দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন বাসন্তীতে জেতার পর বিজেপির দলীয় কর্মীরা মিছিল করেন, আবির খেলেন। সেই সময় তৃণমূলের মিছিলেও আবির খেলা হচ্ছিল। বিজেপির মিছিল থেকে আবির গিয়ে পড়ে পুলিশের গায়ে। আর এরপরই নির্বিচারে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ বিজেপির। পুলিশের 'মার' থেকে বাঁচতেই বিজেপি কর্মীরা পুকুরে ঝাঁপ দেন। বেশ কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। 


পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll 2023) গণনা শুরু হতেই অশান্তি শুরু হয়। গণনাকেন্দ্রের বাইরে উত্তেজনা ছড়ায়। ডায়মন্ড হারবারে ফকিরচাঁদ কলেজে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। বিরোধী এজেন্টদের গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। মনোনয়নপর্ব থেকে ভোটের ফলপ্রকাশের আগের রাত পর্যন্ত, রাজ্যে ভোট হিংসার বলি হয়েছেন ৪০ জন। আর, ভোটেই মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। ভোটের দিন কোথাও উদ্যত আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি করতে দেখা গেছে। কোথাও মুহুর্মুহু বোমাবাজি হয়েছে। রক্ত ঝরেছে। মৃত্যু হয়েছে। সেই ট্রেন্ড বজায় রেখেই ভোট গণনার দিন সকাল থেকেই দিকে দিকে ফের অশান্তির ছবি। কোথাও বিরোধী কাউন্টিং এজেন্টকে মারধর, কোথাও আবার প্রার্থীকেই অপহরণের অভিযোগ।                                      


এদিন কাঁকসায় গণনা কেন্দ্রের সামনে উত্তেজনা ছড়ায়। সিপিএমের এজেন্টদের তাড়া করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উপর। পাল্টা তির ধনুক নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর চড়াও হয় সিপিএম। ঘটনাস্থলে কাঁকসা থানার পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বর্ধমানের খণ্ডঘোষে গণনাকেন্দ্রে সিপিএম এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা পথ অবরোধ করে বামেরা। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে তাড়া করে সিপিএম। ভাতারে গণনাকেন্দ্রের বাইরে সিপিএমের বিক্ষোভ। লাঠি উঁচিয়ে তাড়া পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: Hair Thinning: হেয়ার থিনিং কী? কেন এই সমস্যা দেখা দেয়?