কলকাতা: উত্তর থেকে দক্ষিণ কেমন হতে চলেছে ২০২৩-র ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের চিত্র? অপেক্ষার আর কিছুক্ষণ, কার দখলে যাবে গ্রাম বাংলার রাশ? সকাল ৮টা থেকে শুরু পঞ্চায়েতের ফল গণনা। রাজ্যজুড়ে ৩৩৯টি কেন্দ্রে হবে ভোট গণনা। ভোট গণনা চলবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনীতে। প্রতি গণনা কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রয়েছে রাজ্য পুলিশও। আশ্বাসই সার!


রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (West Bengal Election Commission) হিসেব জানাচ্ছে, তিনটি স্তর মিলিয়ে ৭৩৮৮৭ টি আসনে ৯০০৯ টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় এসেছিল। যা মোট আসনের প্রায় ১২ শতাংশ। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬৩২২৯টি আসনের মধ্যে বিনা যুদ্ধে জয় ৮০০২ টি আসনে। পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৯৭৩০ টি আসনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ৯৯১ টি আসনে। জেলা পরিষদের মোট ৯২৮টি আসনের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় ১৬টি আসনে।             


উল্লেখ্য, আঠেরোর মতো, তেইশের পঞ্চায়েত ভোটেও ফিরেছে সেই হিংসার ছবি। আর ভোটের দিনে মৃত্য়ুর নিরিখে ২০১৮-কে ছাপিয়ে গেল ২০২৩। যা দেখে বিরোধীরা কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন তুলছে, শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত ভোটের আশ্বাস কি তাহলে শুধুই লোক দেখানো ছিল? এনিয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। আজ ফলাফল। ইতিমধ্যেই কয়েকটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। 


যদিও পঞ্চায়েত ভোটের উল্টো ছবি দেখা গেল পুননির্বাচনে। দেখা গেল একটু অন্য় রকম ছবি। স্বমহিমায় রয়েছে, পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী। এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন যে, পঞ্চায়েত ভোটের দিন পুলিশের এই সক্রিয়তা কোথায় ছিল? তাহলে কি গোটাটাই পূর্ব পরিকল্পনামাফিক?  


বিরোধীরা বলছে, বঙ্গে ভোটের দিন পুলিশের ভূমিকা ছিল, অনেকটা শিব ঠাকুরের আপন দেশের মতো। পঞ্চায়েত ভোটের দিন যেখানে বুথে বুথে অশান্তি হয়েছে
বন্দুক হাতে দাপাদাপি, বোমাবাজি, ভোট লুঠ হয়েছে। ব্যালট বক্স পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার জল ঢেলে দেওয়া হয়েছে বক্সের ওপর। কিন্তু কোথাও সেভাবে পুলিশকে দেখা মেলেনি। কার্যত কর্পুরের মতো উবে গেছিল হাইকোর্টের নির্দেশে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনীও! না কি তাদের অদৃশ্য করে রাখা হয়েছিল? আর, পঞ্চায়েতের পুননির্বাচনের দিন দেখা গেল একটু অন্য় ছবি। হঠাৎই স্বমহিমায় পুলিশ। দৃঢ় কেন্দ্রীয় বাহিনী!


আরও পড়ুন: Panchayat Election Result : ৩৩৯ গণনাকেন্দ্রে নজর, গ্রাম বাংলা কার দখলে ? আজ পঞ্চায়েতের ফল