ঝাড়গ্রাম: নয়াগ্রামে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পদযাত্রায় উত্তেজনা। এদিন তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে দিয়েই চলে শুভেন্দুর পদযাত্রা।  শুভেন্দুর পদযাত্রা চলাকালীন ছাদ থেকে স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।


এর আগে গোপীবল্লভপুরের তোপসিয়ায় জনসংযোগ কর্মসূচি করেন শুভেন্দু। পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে ঝাড়গ্রামে বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থীর বাড়িতে যান শুভেন্দু। বিজেপির জেলা পরিষদ প্রার্থী শুভঙ্কর মাহাতোর বাড়িতে যান তিনি। মূলত এই প্রার্থীকেই মারধর করার ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ওসির বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। বিকেলে নন্দীগ্রামে জোড়া জনসভা করবেন শুভেন্দু।  


নয়াগ্রামে নির্বাচনী প্রচার থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন,  'জঙ্গলমহলে পুলিশি সন্ত্রাস চলবে না।'পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে সাফ করার দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তবে এখানেই শেষ নয়, হুঙ্কার দিয়ে এদিন শুভেন্দুর সংযোজন, 'আমি কিষেণজিকে সোজা করা লোক।' উল্লেখ্য, সালটা ছিল ২০১১ । তখন সবে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্য ছিল জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানো। ওই বছরের নভেম্বর মাসেই বদলাল সমীকরণ। বছর ৫৫ তেই যবনিকা পড়েছিল একটা অধ্যায়ের। মাওবাদী নেতার মৃত্যুতে সেদিন উত্তাল হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। 


প্রসঙ্গত, পুরভোট হোক কিংবা বিধানসভা ভোট শাসক-বিরোধী হাড্ডাহাড্ডি লড়াই একাধিকবার দেখে এসেছে বাংলা। বিধানসভা ভোটের আগে শাহ-মোদির সপ্তাহে সপ্তাহে বঙ্গ সফরে এসে প্রচার এবং শাসকদলকে নিশানার ছবিও যেমন প্রকাশ্যে এসেছে। ঠিক তেমনই ডবল ইঞ্জিনের স্বপ্ন পূরণ হবে না বলে হুঙ্কার দিতে শোনা গিয়েছিল শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বকেও।


তবে পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে কিছু বিশেষ ইস্যু। নিয়োগ দুর্নীতি তো বটেই, কেন্দ্রীয় প্রকল্প-সহ একাধিক ইস্যুকে ঢাল বানিয়ে ময়দানে নেমেছে দুই দলই। তবে বরাবরের মতোই ভোটের আগে জুড়ে যায় ভোট পূর্ববর্তী হিংসার ইস্যুগুলি। যেমন একুশের আগে ছিল শালবনী, তেমন লোকসভা ভোটের আগে পঞ্চায়েতের এই সেমিফাইনালে উঠে আসছে একাধিক ইস্যু। তবে শেষ হাসি কে হাসবে, তা শুধুই সময়ের অপেক্ষা বলেই চাপান উতোর রাজনৈতিক মহলে। 


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ? 


প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্যপাল বলেন,'গণতন্ত্রের পাহারাদারের হাতে যেন মৃত্যুঘণ্টা না বাজে। খুনের রাজনীতি, ভয়ের রাজনীতি, হুমকির রাজনীতি দূর হওয়া দরকার। এটা ভারতের সংবিধান, গণতন্ত্রের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। যা ঘটছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। হাইকোর্টের নির্দেশেও বিষয়গুলি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। প্রত্যেক নাগরিক যেন নির্ভয়ে ভোট দিতে পারেন। যেখানেই হিংসার ঘটনা ঘটবে, আমি সেখানেই আমি যাব। আমি গ্রাউন্ড জিরো গভর্নর হতে চাই।'