কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনীর (Central Force) পর, পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এপ্রসঙ্গে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন প্রাক্তন রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার (Former State Election Commissioner) মীরা পাণ্ডেও। যাঁর আমলে রাজ্য়ে পাঁচ দফায় ভোট হয়েছিল। মীরা পাণ্ডের মতে, নিরাপত্তাকর্মী ও ভোটকর্মীর ঘাটতি থাকলে, একাধিক দফায় ভোট করানোই সুবিধাজনক।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর এবার পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ানোর দাবিতে সরব হয়েছে বিরোধীরা। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও আদালতে জানানো হয়, ২০১৩-র মডেল অনুযায়ী ভোট হলে, তাদের বাহিনী দিতে সুবিধা হবে। দশ বছর আগে সেই পঞ্চায়েত ভোটে, এরাজ্য়ে ভোট হয়েছিল ৫ দফায়। সুষঠু এবং অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে দফা বাড়ানোর জন্য়, সেবার সুপ্রিম কোর্ট অবধি যেতে হয়েছিল তৎকালীন রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেকে। বিরোধীরা যখন পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ানোর দাবিতে সরব, তখনই এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, একের বেশি দফায় ভোট করানোর কারণ নিয়ে মুখ খুলেছেন মীরা পাণ্ডে।
কেন ৫ দফায় ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালে?
প্রাক্তন রাজ্য় নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে বলেন,“ একটা হচ্ছে ভোটকর্মীর ঘাটতি থাকে। সুপারভাইজারি অফিসারদের ঘাটতি থাকে। তাই সেগুলোকে আমরা যখন দফায় দফায় করি, সেই একই দলকে আমরা অন্য জেলায় নিয়ে যাই। পুলিশকর্মীদেরও এক জেলা থেকে অন্য় জেলায় নিয়ে যাওয়ার সুবিধাটা তাহলে থাকে। ’’
ঘোষিত নির্ঘণ্ট অনুযায়ী, পঞ্চায়েত ভোটের বাকি আর ১৫ দিন। মীরা পাণ্ডের সময় রাজ্য়ে এসেছিল ৮২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তখন ভোট হয়েছিল ৫ দফায়। এবার রাজ্য়ে আসছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে গোটা রাজ্য়ে ভোট হচ্ছে কেবল এক দফায়। পাশাপাশি ২০১৩-র তুলনায় দশ বছর পর রাজ্য়ে বুথ এবং ভোটার দুটোই বেড়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, ২০১৩-র থেকে মাত্র ২ কোম্পানি বেশি বাহিনী দিয়ে, গোটা রাজ্য়ে একদিনে অবাধ ভোট করা কি সম্ভব হবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: Homemade Candle: রং-সুগন্ধের সমাহার, ঘরেই চটজলদি তৈরি মোমবাতি