রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েতের ভোটের (Panchayat Election) আর মাত্র ২ দিন বাকি। এখনও রাজ্যজুড়ে অশান্তির আবহ রয়েছে দক্ষিণবঙ্গ হোক কিংবা উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। প্রচার শেষের আগের দিন, মাঝরাতে জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) বিজেপি (BJP) জেলা সভাপতির গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ও পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
ঠিক কী হয়েছে?
গতকাল রাত ১২টা নাগাদ শহর মণ্ডল সভাপতি স্বপন দত্তকে নিয়ে প্রচার সেরে ফিরছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী। অভিযোগ, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় হেলমেট পরা দুই বাইক আরোহী। চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি। গাড়ির সামনের কাচ ও সামনে বাঁ দিকের দরজার কাচে গুলি লাগে। পাথর ছুড়ে গাড়ির পিছনের কাচও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
অন্য জেলাতেও একই চিত্র
শুধু উত্তরবঙ্গ নন, দক্ষিণবঙ্গেও একই অবস্থা। প্রচার সেরে বাড়ি ফিরে খেতে বসেছিলেন বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ, তৃণমূলের দুষকৃতীরা বাড়িতে ঢুকে মাথায় বনদুকের বাঁট দিয়ে মেরে প্রথমে মাথা ফাটিয়ে দেয়, এরপর ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপায়। বিবস্ত্রও করে দেওয়া হয় বিজেপি প্রার্থীকে। বাধা দিতে গেলে তাঁর স্ত্রীকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। অশোকনগরের বিড়া রাজীবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী শ্যামল দাস হাসপাতালে ভর্তি। অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। হামলা-যোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এদিকে, কোচবিহারের শীতলকুচিতে তৃণমূল প্রার্থীর বাড়ির সামনে বোমাবাজি। অভিযোগের তির কংগ্রেসের দিকে। শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন ফজিলা বিবি। অভিযোগ, গতকাল রাতে তাঁর বাড়ির সামনে পরপর ৫টি বোমা ছোড়ে দুষকৃতীরা। ৪টি বোমা ফাটলেও, পরে এলাকা থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে শীতলকুচি থানার পুলিশ। বোমাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত নির্বাচন বয়কটের ডাক, পোস্টারে ছয়লাপ নিউটাউন